মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় যে সত্যিই উন্নয়নের জোয়ার এসেছে আবারও তা প্রমাণ হয়ে গেল। বিগত ১১ মাসে পশ্চিমবঙ্গের সর্বস্তরে কর্মসংস্থানের পরিমাণ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের (ইপিএফও) পে-রোল ডেটার রাজ্যওয়াড়ি তালিকায় গোটা চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। কর্মসংস্থানের পরিমাণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সারা দেশের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম দশেই রয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী লোকসভা ভোট পর্যন্ত প্রতি মাসে এভাবে ইপিএফও পে-রোল ডেটা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত আগস্ট মাসে এটি প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র। আগামী ২০ অক্টোবর ফের ইপিএফও পে-রোল ডেটা প্রকাশের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, বছরে দু’কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, গালভরা প্রতিশ্রুতি দিলেও মোদি জমানায় কর্মসংস্থান তো হয়ইনি, বরং বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি কর্মসংস্থান এবং বেকারত্বের এই ইস্যুটি আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মোদী বিরোধিতার অন্যতম অস্ত্র হতে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে গোটা দেশের কর্মসংস্থানের পরিমাণ তুলে ধরে, বাংলা এবং আরও কয়েকটি রাজ্যে যে কর্মসংস্থান হয়েছে, তারই গোটা কৃতিত্ব নিতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
সংশ্লিষ্ট তথ্য অনুসারে, উল্লিখিত ১১ মাসে পশ্চিমবঙ্গে ১৮ থেকে ২১, ২২ থেকে ২৫, ২৬ থেকে ২৮, ২৯ থেকে ৩৫ এবং ৩৫ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সর্বত্রই কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৩ হাজার ৯০২। তা চলতি বছরের জুলাই মাসে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬ হাজার ৭৯৬। ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ গত বছর সেপ্টেম্বরে ছিল ৩ হাজার ৮৫৯। ১১ মাস পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮ হাজার ৭৪৫। ২৬ থেকে ২৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের পরিমাণ চলতি বছরের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গে ৪ হাজার ৮১৪। অথচ এর পরিমাণ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ছিল প্রায় দেড় হাজার। আবার ২৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের পরিমাণ ১১ মাসে ১ হাজার ৫৩৩ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬ হাজার ৮৭২। আর ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মসংস্থানের পরিমাণ পশ্চিমবঙ্গে ৬ হাজার ৯৬৪ (জুলাই, ২০১৮)। আগামী ২০ অক্টোবরের পে-রোল ডেটায় বাংলায় কর্মসংস্থানের পরিমাণ আরও খানিকটা বাড়বে বলেই আশা করছে রাজ্য সরকার।