রাজ্যে বনধ ব্যর্থ করে পথে নেমেছেন মানুষ। আর আজ আরও একবার রাজ্যে লগ্নী টানার লক্ষ্যে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ইতালির লোম্বার্ডির প্রদেশের গভর্নরের সঙ্গে। ইতালি সফরের আগেই লোম্বার্ডি প্রদেশের গভর্ণর রবের্তো মারোনি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। আজ বুধবার সেই বৈঠকেই বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইতালির উত্তর প্রান্তে এই লোম্বার্ডি প্রদেশ। এই অঞ্চলটিকে বাণিজ্যের এপিসেন্টার বললেও অত্যুক্তি হয় না। বাণিজ্য সফরে ইউরোপ এসে শিল্পপতিদের ভূয়সী সাড়া পেয়েছেন। রাজ্যে লগ্নীর আশ্বাস পেয়েছেন। এবার লোম্বার্ডি প্রদেশের গর্ভণরের সঙ্গে বৈঠক। সেই কারণেই সম্মেলনের পরেও অতিরিক্ত ৩ টে দিন মিলানে থেকে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকৃতপক্ষে বাংলায় লগ্নীর যে প্রস্তাব এসেছে তাতে চুড়ান্ত অনুমোদন দেবেন এই মারোনিই। তাঁর হাতেই সব ক্ষমতা। তাই আজকে মমতার এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলায় লগ্নী টানতে মারোনির সহযোগিতাই চাইছেন মমতা। বাংলার শিল্প সম্মেলনেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইতালির যে সমস্ত বণিকসভা বাংলায় লগ্নী করতে উৎসাহী ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও মুখ্যসচিব তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কী ধরণের লগ্নী রাজ্যে আসতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তাঁদের আশা, ইতালি থেকে শিল্পপতিদের একটি বড় দল বাংলার বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে আসবেন। বুধবারে মারোনির সঙ্গে বৈঠকের পরেই শেষ হবে মমতার ‘মিশন মিলান’।