গুজরাট দাঙ্গার জন্য কাঠগড়ায় তোলা হল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আসামের দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইতে ঠাঁই পেয়েছে এমনই তথ্য। ওই বইয়ের লেখকসহ মোট ৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে আসাম পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বইয়ের অন্যতম লেখক মানসপ্রতীম বড়ুয়া। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে।
জানা গেছে, বইটির ৩৭৬ পাতায় লেখা রয়েছে, ‘গুজরাট জুড়ে যে দাঙ্গা হয়েছিল তাতে গোধরা রেল স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসের ৫৭ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলেন।’ ২০১১ সাল থেকে আসামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ানো হচ্ছে ওই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই। বইটি লেখাও হয়েছে অসমীয়া ভাষায়। লেখক ৩ জন। তাঁরা হলেন দুর্গাকান্ত শর্মা (আর্য বিদ্যাপীঠ কলেজের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান), রফিক জামান (গোয়ালপাড়া কলেজের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান) এবং মানস প্রতীম বড়ুয়া(দক্ষিণ কামরূপ কলেজের বিভাগীয় প্রধান)। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকবছর আগে প্রয়াত হয়েছেন দুর্গাকান্ত শর্মা। বাকি দুই লেখকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সৌমিত্র গোস্বামী এবং মানবজ্যোতি বোরা।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বইটির অন্যতম লেখক মানসপ্রতীম বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘সাতবছর আগে এনসিএআরটি-র বইয়ের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই বইটি লেখা হয়েছিল। আমরা এখানে কেউ নিজস্ব মতামত পেশ করিনি।’ তাঁর দাবি, ‘অনেক বইয়েই এই একই তথ্য রয়েছে।’