তরজাটা এখন আর কংগ্রেস বনাম বিজেপিতে আটকে নেই। হয়ে দাঁড়িয়েছে রাহুল গান্ধী বনাম বিজেপি-র বাকি নেতারা। এর আগেও কংগ্রেস সভাপতিকে ‘পাপ্পু’ বলে ব্যঙ্গ করেছিল বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রীও কটাক্ষ করে বলেছিলেন, কারও কারও বয়স বাড়লেও বুদ্ধি বাড়ে না। এবার রাহুলকে নিশানা করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সভাপতিকে ‘ক্লাউন প্রিন্স’ বলে বিদ্রুপ করলেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাহুলও পাল্টা পাটকেল ছুঁড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ‘চোর’ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে কটাক্ষ করে টুইটে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। শিষ্টাচার শিকেয় তুলে রাফাল বিতর্কে এভাবেই পরস্পরকে আক্রমণে মেতে উঠল দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল।
শুরুটা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।রাফাল চুক্তি নিয়ে রাহুল গান্ধীকে তিব্র আক্রমণ করে জেটলি নিজের ব্লগে লেখেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষন করা উচিৎ যে, তারা ক্লাউন প্রিন্সের দূষিত মিথ্যেকে স্থান দেবে কি না। রাহুল গান্ধী যা বলেছেন তার প্রতিটা শব্দই মিথ্যা’।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজস্থান সফররত রাহুল গান্ধী পাল্টা জবাব দেন। তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে নিশানা করে লেখেন, ‘রক্ষা মন্ত্রী যেভাবে সব দূর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করছেন তাতে তাঁর মিথ্যা বারবার ধরা পড়ে গিয়েছে। হ্যাল-এর প্রাক্তন প্রধান টি এস রাজু তাঁর মিথ্যা ধরে দিয়েছেন। যেখানে হ্যাল রাফাল বিমান বানাতে পারবেনা বলে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল।এই পরিস্থিতিতে ওঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ’।
জেটলির দাবি, ‘রাফাল বিতর্ক যদি প্রথম মিথ্যা হয়, তাহলে দ্বিতীয় যে মিথ্যাটা কংগ্রেস নেতারা বারবার বলছেন, তা হল, প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের ১৫ জন শিল্পপতির ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দিয়েছেন। রাহুল গান্ধীর বলা, ওই বাক্যের প্রতিটা শব্দই তাই মিথ্যা’। এখানেই না থেমে জেটলি গোটা কংগ্রেস দলকেই মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘পরিপক্ক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যারা শুধুই মিথ্যাচারের ওপর নির্ভর করে, তারা জনজীবনের ক্ষেত্রে অনপুযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। অনেক রাজনীতিক মিথ্যা বলার জন্য রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হয়েছেন।কিন্তু বংশানুক্রমিক ভাবে পরিচালিত কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়’।