‘অবিলম্বে রাম মন্দির নির্মানের কাজ শুরু করতে হবে’। লোকসভা ভোটের আগে এভাবেই মন্দির বিতর্ক উসকে দিলেন সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সঙ্গে বেকায়দায় ফেললেন বিজেপি-কেও। কারণ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র নির্বাচনী অ্যাজেন্ডার অন্যতম প্রধান ছিল রাম মন্দির নির্মান। তাদের পালের হাওয়া কেড়ে নিয়ে এবার রামের নামে জিগির তুলে দিলেন ভাগবত নিজেই।
ভাগবত মুখ খুললেই কিছু বিতর্কিত মন্তব্য বেরিয়ে আসে। ‘ভবিষ্যতের ভারত’ শীর্ষক তিন দিনের আলোচনা চক্রের শেষ দিনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁর মতে, ‘রাম মন্দির নির্মান হয়ে গেলেই হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ কমে যাবে। বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলমানদের দিকে আঙুল তোলার ঘটনাও হ্রাস পাবে’। এই উক্তি রাম-মন্দির নির্মান নিয়ে সংখ্যালঘুদের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকি বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এতদিন রাম মন্দির নির্মান না হওয়ার জন্য পরোক্ষে বিজেপি-র দিকেই আঙুল তুললেন ভাগবত। সাফ বলে দিলেন, ‘রাজনীতি না-ঢুকলে অনেক আগেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। আর তা হলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যের উত্তেজনাও অনেকটাই প্রশমিত হত’। বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় কী ভাবে রামমন্দির সমস্যার সমাধান হবে, সেই বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যেতে চাননি সঙ্ঘ-প্রধান। শুধু বলেন, ‘রামমন্দির দ্রুতই হবে। কারণ সেটা হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই আস্থার বিষয়’। এর পরেই হিন্দুত্বের ব্যাখ্যায় ঢুকে ভাগবত বলেন, ‘এ দেশে যাঁরাই বাস করেন, জাতীয়তাবাদ বা পরিচয়ের দিক থেকে তাঁরা হিন্দু। অনেকে তা স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু তাঁরা সকলেই আমাদের লোক। কারণ একতাই আমাদের ঐতিহ্য’।
দেশের শিক্ষানীতি পরিবর্তনের পক্ষেও সওয়াল করেন সঙ্ঘ প্রধান। জানিয়ে দেন, নয়া শিক্ষানীতিতে বেদ-পুরাণের মতো বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ। পাশাপাশি মাতৃভাষা শিক্ষার ওপরেও যোগ দিয়েছেন ভাগবত।