পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে একমাত্র আমডাঙাতেই শাসক দল তৃণমূলকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার আগিদে আমডাঙা-মডেলকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে বামেরা। আমডাঙার মাধবপুরের সভায় এমনই মন্তব্য করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। পাশাপাশি আমডাঙা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জাকির ভল্লুককেও ক্লিনচিট দিয়েছেন তাঁরা।বিমান-সুজনবাবুদের মতে, জাকির গ্রামের নিরীহ ছেলে। ওর জন্য সিপিএম নেতারা গর্ববোধ করেন।
আমডাঙা ইস্যুতে পথসভার ডাক দিয়েছিল সিপিএম। উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী প্রমুখ।
সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘মিথ্যা মামলায় জাকির ভল্লুককে ফাঁসিয়েছে তৃণমূল। একে-৪৭ কোথায় আছে তা জ্যতিপ্রিয় মল্লিক খুঁজে বের করুন’। খাদ্যমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, গত ৬ মাসে জাকিরের মোবাইলে আলিমুদ্দিনের যেসব ভয়ঙ্কর বার্তালাপ হয়েছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরা হোক। জাকির বাংলাদেশে অস্ত্রের ব্যবসা করে এই অভিযোগ তুলে জ্যতিপ্রিয়র প্রশ্ন, ‘কোনও নেতাদের মদতে ব্যবসা চালাত জাকির?’ সিপিএমের নাম না করেই খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দলের হার্মাদদের জেলায় থাকতে দেওয়া হবে না। হার্মাদবিহীন জেলা হবে উত্তর ২৪ পরগনা’।
পথসভায় বিমান বসু বলেন, ‘প্রতিরধ করতেই হবে। এছাড়া কোনও উপায় নেই। আমডাঙা প্রতিরোধ করে দেখিয়েছে। রাজ্যের সমস্ত মানুষ এগিয়ে আসুন। আমডাঙাই হোক আমাদের পথ’। দলীয় নেতা-কর্মীদের তিনি আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে বলেন। মহিলা ও শিশুদের খাবার পৌঁছে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।