১৯-এর দেশ দখলের ভোটেই ‘বদল’ হবে। ‘গণভোটেই জবাব পাবে বিজেপি’। একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ স্রেফ বিজেপি-কে ‘না’ বলবে। বিজেপি বিদায় নেবে। মানুষ ওদের চায় না। পাশাপাশি বলে দিলেন, লোকসভা ভোটে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
নাম না করেই এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুজন লোক দেশ চালাচ্ছে। তাদের নাম নিতে চাই না। কিন্তু কোথায় গেল সমষ্টিগত নেতৃত্ব? কোথায় গেল মন্ত্রীসভা? ২০১৪ সালে মানুষ এঁদের বিশ্বাস করেছিল। ভেবেছিল পালটে যাবে সবকিছু। কি পাল্টালো? পাল্টাচ্ছে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর মিলেমিশে থাকার সাংবিধানিক অধিকার’।
ক্ষমতায় এলে স্বচ্ছ ভারতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি৷ বলেছিল, কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবে৷ সে তো হলই না, উলটে জিএসটি থেকে নোটবন্দি সহ কেন্দ্রীয় একাধিক সিদ্ধান্তে বিপাকে দেশের মানুষ৷ গো-হত্যা গুজবে পিটিয়ে খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে৷ দেশ জুড়ে হিংসার পরিবেশ৷ তিতিবিরক্ত মানুষ৷ বিরোধীদের তোপের মুখে মোদী সরকার৷ এই পরিস্থিতিতে আগামী লোকসভা ভোট কার্যত গণভোটের চেহারা নেবে বলে মনে করেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ তিনি বলেন, ‘‘১৯শের লোকসভা ভোট সময়ের চাহিদা মেনেই গণভোটের রূপ নেবে৷ গণভোটেই জবাব পাবে বিজেপি৷
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ২৫ টি আসন টার্গেট করেছে বিজেপি। কিন্তু একে পাত্তা দিচ্ছেন না মমতা। প্রশ্ন শুনে হাসতে হাসতে বললেন, ‘একটা আসন জিততে পারবে তো! আগে ওরা দিল্লী সামলাক। পরে বাংলার কথা ভাববে’। ২০১৯ লোকসভা ভোটেই বিজেপি-র বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে জানিয়ে পরিস্থিতি পর্যালচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘লোকসভা ভোটে ২০০ আসনও দখল করতে পারবে না ওরা। কোথায় ভালো ফল করবে? রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র সর্বত্র খারাপ অবস্থা। তামিলনাড়ুতে তো এবার ডিএমকে ক্ষমতায় আসবে। তেলেঙ্গানা হয়ত এঁদের সমর্থন দেবে। ওড়িশায় দেখবেন রেজাল্ট ফিফটি ফিফটি হবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বুঝেই এখন বিজেপি মায়াবতীর সঙ্গে অখিলেশ, লালুর সঙ্গে রামবিলাসের ঝগড়া লাগাতে চাইছে। কিন্তু ওরা জানে না, এখন গোটা দেশের ব্রত – নো টু বিজেপি, ইয়েস টু আদার্স’।