ভেঙে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজে মেরামতি নয়। বরং ভেঙে ফেলা হবে মাঝেরহাট ব্রিজের বাকি অংশ। সেখানে তৈরি হবে নতুন ব্রিজ। আগামী ১ বছরের মধ্যেই ‘টার্নকি সিস্টেম’-এ আবার মাঝেরহাটে মাথা তুলবে নতুন সেতু। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট উল্লেখ করে এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার ২৮ অগাস্ট ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। কীভাবে ব্রিজ ভেঙে পড়ল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে সেই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেন মুখ্যসচিব। তাতেই অবিলম্বে ব্রিজ ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ব্রিজটি ৫৪ বছরের পুরনো। ২০১৬ সাল থেকেই মাঝেরহাট ব্রিজে ত্রুটি নজরে আসে। ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ পূর্ত দপ্তরের দায়িত্ব ছিল। এটা তারা অস্বীকার করতে পারে না। সেই দায়িত্ব পালনে তাদের গাফিলতি হয়েছে। রিপোর্টে একথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। ফাইল চালাচালিতে পূর্ত দফতরের অফিসার ও ইঞ্জিনিয়াররা অযথা সময় নষ্ট করেছেন বলে এদিন তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরের অভিযুক্ত অফিসারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অবিলম্বে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে’।
পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মেট্রো রেলের কাজের ফলে ভাইব্রেশন হয়েছে। তার ফলেও ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবিষয়ে আরও তদন্ত চলবে। নতুন ব্রিজ তৈরি হতে ১ বছর সময় লাগবে। পুরো কাজের তদারকি করবেন মুখ্যসচিব স্বয়ং। এই সময়কালে অন্য কোনও রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় কিনা, তা সার্ভে করে দেখা হচ্ছে’। নিরন্তর যোগাযোগ রাখা হচ্ছে রেলের সঙ্গেও। পাশাপাশি, যে দুটি নতুন রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে, সেগুলির কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।