বিগ থ্রি। রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল এবং তাঁকে টেনিস দুনিয়ায় এই মর্যাদাই দেওয়া হয়। মাঝে অনেকটা সময় কনুইয়ের চোটের জন্য ভুগেছেন। ফলে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিলেন না। টানা ৫৪ সপ্তাহ ট্রফির খরা ছিল। ফেডেরার, নাদালের ঔজ্জ্বল্যের পাশে হয়ে যাচ্ছিলেন বিবর্ণ। কিন্তু তিনি যে দমে যাওয়ার পাত্র নন মোটেই, তার প্রমাণ নোভাক জকোভিচ দিয়ে চলেছেন। চলতি বছরে উইম্বলডন জেতার পর এবার হাতের মুঠোয় নিলেন ইউএস ওপেন খেতাবও। ১৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে জকোভিচ ছুঁয়ে ফেললেন কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসকে। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে পুরুষ সিঙ্গলসের ফাইনালে সার্বিয়ান তারকা ৬–৩, ৭–৬ (৭–৪), ৬–৩ গেমে হারান হুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোকে। এই নিয়ে তৃতীয়বার ইউএস ওপেন জিতলেন জোকার। চ্যাম্পিয়ন হয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন। সাম্প্রাসকে ছুঁয়ে বলেছেন, ‘টেনিসের সর্বকালের অন্যতম কিংবদন্তির নাম পিট সাম্প্রাস। আমার ছোটবেলার আইডল। ওঁর খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতাম। ওঁর প্রথম বা দ্বিতীয় উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ দেখেছিলাম টিভিতে। টেনিস খেলতে সেটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মোট গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের নিরিখে ওঁর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকাটা আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্যের।’
ফেডেরারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সংখ্যা ২০। নাদালের ১৭। ইউএস ওপেন জিতে সিঙ্গলস র্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে উঠে এলেন জকোভিচ। শীর্ষে নাদাল, দুইয়ে ফেডেরার। এবার ইউএস ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালে ফেডেরারের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা ছিল জোকারের। কিন্তু জন মিলম্যান তার আগেই হারিয়ে দেন সুইস মহাতারকাকে। নাদালের সঙ্গেও ফাইনালে সাক্ষাৎ হয়নি, কারণ দুই সেটে পিছিয়ে থাকার পর হাঁটুর তীব্র যন্ত্রণায় সেমিফাইনালে কোর্ট ছেড়েছিলেন বিশ্বের এক নম্বর। চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই দু’জনকে নিয়ে কী বললেন জকোভিচ? ‘১০ বছর আগে হয়তো নাদাল ও ফেডেরারের পাশাপাশি থাকতে এতটা স্বচ্ছন্দ বোধ করতাম না। কিন্তু এখন আমি সত্যিই খুশি। নিজেকে ওদের মতোই মনে হয়। ওদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ফেডেরার এবং নাদালের সঙ্গে ম্যাচ খেলা আমাকে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। ওদের কাছে আমি ঋণী।’
ফাইনালে জকোভিচের দাপটের সামনে দাঁড়াতে পারেননি দেল পোত্রো। তিনি মনে করেন, ফেডেরারের ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন জকোভিচ। ‘যখন দেখি আমার এক বন্ধু ট্রফি ধরে আছে, ভালই লাগে। নোভাক চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি খুশি’, মন্তব্য দেল পোত্রোর।