যান চলেছে স্বাভাবিকভাবেই। অন্যান্য কর্মব্যস্ত দিনের মতোই স্কুল, কলেজ, অফিস, কাছাড়িও ছিল কর্মমুখর। সরকারি অফিসের পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলিতেও হাজিরা ছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই। বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি মমতার বাংলায়। কিন্তু এর পরেও বাম এবং কংগ্রেসের দাবি, বনধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে শিল্পাঞ্চলে।
বামেদের এমন মন্তব্যে হাসছেন অধিকাংশ রাজ্যবাসী। তাঁদের মতে, জনবিচ্ছিন্ন আগেই হয়েছিলেন। এবার চোখে ঠুলি এঁটেছেন বাম নেতৃত্ব। তাই আসল ঘটনার দিকে নজরে আসেনি তাঁদের। তাই ব্যর্থ বনধ নিয়েও জলঘোলা করছে আলিমুদ্দিন।
রাজ্যে ১২ ঘণ্টার হরতালে অংশ নেয়নি ফরওয়ার্ড ব্লক। এই নিয়ে বাম শিবিরে কিছুটা অস্বস্তি ছিলই। তাঁদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা। গত সাত বছরে কোনও বনধই সফল হয়নি বাংলায়। এই অবস্থায় এদিন শিল্পাঞ্চলে মিশ্র প্রভাব পড়েছে দাবি করে বিমান বসু বলেন, ‘হরতালে মিশ্র প্রভাব পড়ায় রাজ্যের মানুষ এবং বাম কর্মীদের ধন্যবাদ। ব্যারাকপুর ও হুগলীর অধিকাংশ চটকল বন্ধ ছিল। উত্তরবঙ্গের চা-বাগানগুলিতেও হরতাল হয়েছে’।
অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সিপিএম, কংগ্রেস বনধ করেছে আর তৃণমূল রাস্তায় নেমে মিছিল করেছে’। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু না বললেও পাল্টা পরিসংখ্যান দিয়ে বিমান দাবি করেন, বেছে বেছে বাম কর্মীদের পেটানো হয়েছে অনেক জায়গায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল ভাঙতে চেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিমানের সুরেই সুর মিলিয়ে একই অভিযোগ তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তাঁর দাবি, ‘বনধ সমর্থন করেছে রাজ্যবাসী’।