রাবরই কৃতীদের যোগ্য সম্মান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে অভাবী মেধাবীদের উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করা হোক, কিংবা দুঃস্থ শিল্পীর পাশে দাঁড়ানো। সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। হেপ্টাথেলনে দেশকে সোনা এনে দেওয়া স্বপ্না বর্মণ এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা। দার্জিলিংয়ের ম্যালে শিক্ষক দিবসের মঞ্চ থেকে সোনার মেয়ে স্বপ্নার মা বাসনা বর্মণের হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি স্বপ্নার ভাইকে দিয়েছেন চাকরির আশ্বাসও। এমনকি, দেশকে গর্বিত করা স্বপ্না চাইলে তাকেও রাজ্য সরকারের তরফে চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিয়াগঞ্জ ঘোষপাড়ার বাসিন্দা স্বপ্নার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। বাবা ভ্যানচালক। বর্তমানে অসুস্থ। মা সংসার চালাতে চা–বাগানে কাজ করতেন। এমন পরিবার থেকে স্বপ্নার এই সাফল্য নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। স্বপ্নার বাড়ি গিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন ম্যালের মঞ্চ থেকে অক্ষরে অক্ষরে সেই প্রতিশ্রুতিই পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, পরিবারের যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকবে তাঁর সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত স্বপ্নার মা বাসনা বর্মন। মঞ্চে দাড়িয়েই বেকার ছেলের জন্য একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলেন মমতাকে। তৎক্ষণাৎ সেই আর্জিও পূরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চেই পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে নির্দেশ দিয়েছেন পর্যটন দপ্তরে স্বপ্নার ভাইয়ের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে। এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বপ্না চাইলে তাঁকেও চাকরি দিতে আগ্রহী রাজ্য সরকার।’ তিনি জানান, অরূপ বিশ্বাসকে বলা হয়েছে এই ধরনের ক্রীড়াব্যক্তিত্বের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিতে।
মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘরোয়া ব্যবহারে আপ্লুত স্বপ্নার পরিবার। স্বপ্নার মা বাসনাদেবী জানান, ‘সরকার যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।‘