মঙ্গলবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মঞ্চ থেকে একযোগে রাম-বামকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুই দলের জন্যই রাজ্যে অশান্তি হচ্ছে বলে আভিযোগ তাঁর। এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র হুঁশিয়ারি, ‘ভারতীয়দের তাড়ানোর চেষ্টা করলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। ক্ষমতায় আছে বলে যা ইচ্ছে তাই করছে বিজেপি। বাংলা থেকে প্রতিবাদ হচ্ছে বলে এখানে এজেন্সিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতা থেকে শুরু করে পুলিশ সবাইকে নোটিশ দিতে বলছে সিবিআইকে। কিন্তু এভাবে বাংলা দখল করা যাবে না’।
বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘দেশে এখন জরুরী অবস্থার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি। এই অবস্থার বিরুদ্ধে যারা মুখ খুলছেন তাঁদেরই ভয় দেখানো হচ্ছে’। তৃণমূলের পাশাপাশি, রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব, ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন থেকে শুরু করে সমস্ত বিরোধী শক্তির মুখ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআইয়ের ভয় দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জামবনিতে এক তৃণমূল কর্মীর খুনের কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৩৪ বছর ধরে যারা রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করেছিল, অশান্তি করেছিল, মানুষকে অত্যাচার করেছিল, সিপিএমের সেই হার্মাদরাই আজ সব বিজেপি হয়েছে। যারা আগে ছিল হার্মাদ, আজ তারাই বিজেপির জল্লাদে পরিণত হয়ে আবার বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আর তাদের মদত দিতে টাকা ছড়াচ্ছে বিজেপি’।
চিট ফান্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তের ইস্যুও এদিন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘বিজেপি বসে বসে সিবিআইকে নির্দেশ দিচ্ছে, একে নোটিশ পাঠাও, ওকে নোটিশ পাঠাও। পুলিশকে ডিসটার্ব করো। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ নেই। দেশে একটা জঘন্যতম সরকার চলছে। সভ্যতার নামে অসভ্যতা করছে। বাংলা প্রতিবাদ করছে বলে এখন বলছে, বাংলাকে ধ্বংস করে দাও। কিন্তু ২০১৯ সালে ওরা নিজেরাই ফিনিশ হবে’।