প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্যারাকপুরের গঙ্গার ধারে গড়ে উঠতে চলেছে অত্যাধুনিক বিনোদন পার্ক। পার্কে বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে সাজিয়ে তোলা হবে স্বাধীনতার ইতিহাস। থাকবে মানানসই আলো। গঙ্গার ধার বরাবর সুন্দর রাস্তা তৈরি করা হবে। লাগানো হবে বাহারি গাছ। পূর্ত দপ্তরের এক কর্তার কথায়, এই পার্ক দিয়ে হেঁটে গেলে চোখের সামনে স্বাধীনতার ইতিহাস ভেসে উঠবে।
পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে, পুরনো গভর্ণর হাউস থেকে অন্নপূর্ণা মন্দির পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা এই প্রকল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত বছরের প্রথমদিকে ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্প রুপায়নে সেই সময় ৫ কোটি টাকা অনুমোদনও করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে অর্থ কোনও বাধা হবে না। কিন্তু প্রশাসনিক টালবাহানায় এই প্রকল্পের একটি ইটও গাঁথা হয়নি। এবার সেই কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য পূর্ত দপ্তর এবং বন দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই প্রকল্পের টেণ্ডার হয়ে যাবে।
এমনিতেই ঐতিহাসিক শহর ব্যারাকপুর। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল এই শহরে। মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসির সাক্ষী এই শহর। আর এসবই হয়েছিল ব্যারাকপুরের লাটবাগানে। সেখানেই ইতিহাসের পথ বেয়ে অত্যাধুনিক বিনোদন পার্ক শহরবাসীর পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছে পূর্ত দপ্তর।