লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার জন্য সোমবার আইন কমিশনকে চিঠি দিল বিজেপি। ‘এক দেশ এক ভোট’ তত্ত্বের পক্ষে অমিত শাহের লেখা চিঠি কমিশনে তুলে দিলেন দলের নেতারা। তাঁদের আর্জি, এই দাবিকে সামনে রেখে সব দল একত্রিত হোক। অন্যদিকে, এদিনই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাজ্যসভা নির্বাচনে অমিত শাহের বিরুদ্ধে অসম্পূর্ণ হলফনামা দেওয়ার অভিযোগ আনল কংগ্রেস। শাহের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করার দাবি জানালেন কংগ্রেস নেতারা।
এর আগে ১৯৫১-৫২, ৫৭, ৬২ এবং ৬৭ সালে একসঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু, কয়েকটি রাজ্যে সময়ের অনেক আগেই বিধানসভা ভেঙে যাওয়ায় সেই প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়েছে। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একসঙ্গে ভোট করা নিয়ে সরব নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা। চিঠিতে শাহ লিখেছেন, ‘সারা বছর দেশের কোনও না কোনও রাজ্যে নির্বাচন লেগেই থাকে। ফলে, বিঘ্নিত হয় উন্নয়ন প্রক্রিয়া।’ তিনি লিখেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদির সরকার এক দেশ এক ভোট নীতি সমর্থন করে।’ আরও লিখেছেন, ‘একসঙ্গে সব নির্বাচন করানোর পদ্ধতি চালু হওয়া উচিত। এই ব্যাপারে সব কটি রাজনৈতিক দলের একজোট হওয়া উচিত।’ তাঁর আরও যুক্তি, একসঙ্গে ভোট হলে নির্বাচনী ব্যয় অনেক কমে যাবে। গত কয়েকটি লোকসভা নির্বাচনে সরকারের খরচ কীভাবে বেড়ে চলেছে, তার পরিসংখ্যান দিয়ে শাহ বোঝাতে চেয়েছেন, এভাবে বাড়তি কত টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে অমিত শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। দলে ছিলেন কপিল সিবাল, অভিষেক মনু সিংভি, জয়রাম রমেশ, বিবেক তনখা–সহ অন্যরা। পরে সিবাল বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কেউ নির্বাচনে লড়লে প্রার্থীকে তাঁর সম্পত্তি ও দায়দায়িত্বের কথা হলফনামা দিয়ে জানাতে হয়। অমিত শাহ নিজের দুটি সম্পত্তি গুজরাটের একটি সমবায় ব্যাঙ্কে বন্ধক রেখে তাঁর ছেলের নামে ২৫ কোটির ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু, হলফনামায় তার উল্লেখ করেননি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, অসম্পূর্ণ হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য রাজ্যসভা চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানো হোক। দ্বিতীয়ত, কেউ যদি অসম্পূর্ণ হলফনামা দেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫এ ধারা অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। অমিত শাহের বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা রুজু হওয়ার কথা।’