আগামী বুধবার, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় ঠাণ্ডা বাতাস ছড়াবে বাংলা। দেশ–বিদেশের অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও তালপাতায় তৈরি হাতপাখা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আয়োজিত লালকেল্লার ওই অনুষ্ঠানের জন্য আদিবাসী মন্ত্রকের কাছ থেকে কয়েক হাজার হাতপাখা চাওয়া হয়েছে। পাখা প্রতি আদিবাসী শিল্পীরা পাবেন ১৫০ টাকা। পশ্চিমবঙ্গের মাহালি উপজাতিরাই মূলত এই হাতপাখা তৈরির বরাত পেয়েছেন। পাখার দু’দিকেই থাকছে উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া। সঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়ের রোজনামচার ‘মোটিফ’। তার ওপরে অতিথিদের জন্য লেখা বিশেষ বার্তা। গত মে মাসে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় কলাকেন্দ্রে শিল্পী যতীন দাসের হাতপাখা প্রদর্শনী রাজধানীতে সাড়া ফেলেছিল। তখন থেকেই বাংলার হাতপাখার প্রতি বিশেষ নজর পড়ে প্রশাসনের। তারপরই স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় হাতপাখার হাওয়া ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। ‘ট্রাইবাল কো–অপারেটিভ মার্কেটিং ডেভলপমেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রবীর কৃষ্ণ জানিয়েছেন, উপজাতি সম্প্রদায়ের শিল্পকলাকে বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের আর্থিক উন্নতির প্রয়াসেই এই উদ্যোগ। যদিও ভারতীয় কারুশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দস্তকারি হাট সমিতির প্রধান জয়া জেটলি বলছেন, ‘প্রতি বছরই ১৫ আগস্ট লালকেল্লায় গরমে নাজেহাল হন অতিথিরা। অনেকেই ম্যাগাজিন বা খবরের কাগজ দিয়ে হাওয়া করেন। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই এই অভিনব পরিকল্পনা।’ এই নকশাদার হাতপাখা বিক্রির বন্দোবস্ত করা হয়েছে tribesindia.com, অ্যামাজন–সহ দেশের ৯৭টি আউটলেট এবং ই–পোর্টাল থেকে। এছাড়াও আদিবাসীদের আর্থিক উন্নয়ণে এবার মধ্যপ্রদেশের শারিয়া উপজাতিদের তৈরি ভেষজ রাখি বিক্রিরও ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। লালকেল্লায় মোদির সামনে বাংলার হাতপাখা উপহারের কথা শুনে রসিক তৃণমূল নেতা অবশ্য বলছেন, ‘ওই বাংলার পাখার বাতাস দিয়েই এবার ওঁকে তাড়াবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী!’