শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের গাফিলতির মধ্যেই রয়েছে ঘৃণ্য রাজনীতি। প্রতি শিক্ষা বর্ষে রাজ্যের যত সংখ্যক সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টালের মাধ্যমে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করছে তার অর্ধেকেরও কম ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যারা কেন্দ্রের সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের রাজ্য সরকার আর্থিক ভাবে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেও কেন্দ্রীয় সরকার ওই সমস্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা দিতেই অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এই রাজ্য থেকে ২৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপের আবেদন জানাই। তার মধ্যে মাত্র ১২ লক্ষর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের মাইনরিটি স্কলারশিপ প্রকল্পের আওতায়। ঠিক তেমনি ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে সর্বাধিক ৩২ লক্ষ সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী আবেদন জানালে তার মধ্যে মাত্র ১৪ লক্ষ ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপ পেয়েছে। এখানেও সুযোগ করে দিতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী কেন্দ্রের স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের রাজ্য সরকার পড়াশোনার জন্য স্কলারশিপ দেবে।
যদিও রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর মাদ্রাসা ও স্কুলগুলি থেকে শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা তৈরি করে নিয়েছে। আপাতত ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ১৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের আগস্টের মধ্যেই স্কলারশিপ দেয়া চালু করে দেবে দফতর সূত্রে খবর। এর জন্য রাজ্য সরকারের খরচা হবে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। নবান্ন সূত্রে খবর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ১৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপের টাকাও রাজ্য সরকার প্রস্তুত রেখেছে। এতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ করেছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে নাম।হাতে পেলেই রাজ্য ওই ১৮ লক্ষর জন্যও স্কলারশিপ চালু করে দেবে।