আন্দোলন, অনশন। কত নাটক হলো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু রাখতে। শেষমেশ প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পর দেখা গেল যারা উচ্চমাধ্যমিকে ৮৮ বা ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে তারাই এই পরীক্ষায় নাকি ০,২,৪,৬ করে পেয়েছে। বিশেষ করে ঘটনাতা ঘটেছে ইতিহাসের ক্ষেত্রে। আবার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। বিতর্কের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ বাইরের অধ্যাপকদের দিয়ে পুনরায় উত্তরপত্র দেখানোর সিদ্ধান্ত নিলো, তখন ইতিহাসের অধ্যাপক দের দাবি তা চলবে না। কারণটা কি? আত্মসম্মান নষ্টের ভয়? না। ভয় হচ্ছে অন্য জায়গায়। আসলে প্রবেশিকার প্রশ্নপত্রে কদেখা যাচ্ছে মূলত কোন কোন ছাত্রছাত্রী মার্কসীয় বিপ্লবের তত্ত্বে বিশ্বাসী তা বেছে নেওয়ার জন্যই। মূলত বিপ্লবের চিন্তাধারাতে নতুন প্রজন্মর কোন কোন ছাত্র ছাত্রী বিশ্বাসী এবং রাষ্ট্র বিরোধী যে কোনও ইস্যুতেই বিপ্লবের পথে হাঁটতে বদ্ধপরিকর তা জানার জন্যই তৈরি করা হয়েছে যাদবপুরের ইতিহাসের প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র।
স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত প্রশ্ন প্রবেশিকাতে রেখে নতুনদের ভর্তির আগেই বুঝে নিতে হবে কারা কারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তাদের পূর্বসূরি যে সমস্ত মার্কসীয় ছাত্র শিক্ষকরা রয়েছেন , তাঁদের বিপ্লবের ধারাটা কতটা এগিয়ে।নিয়ে যেতে পারবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হলে তো সাধারণ মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা তো পড়াশোনায় মন দিয়ে দেবে। তখন তো আর হোক কলরব বা চুম্বন বিপ্লবের জন্য লোক জটানো যাবে না। মার্কসীয় তত্ত্বে বিশ্বাসী না হলে তো সরকার বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে যে ভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত আখেরাতে পরিণত হয়েছে, সেই লীগেসি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়।