আইন করে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগী রাজ্য। স্কুলটি রাজ্যের কোন জায়গায় অবস্থিত, শহরে না জেলায়, শহরে হলে কোথায়, পরিকাঠামো কেমন তার ওপর ভিত্তি করে ফি নির্ধারিত হবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে নবান্নে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে বিধানসভায় বিল আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
খসড়া প্রস্তাবে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে ফি নির্ধারিত হবে তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্কুলটির অবস্থান এবং পরিকাঠামো বিচার্য বিষয়। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে শিক্ষকের সংখ্যা, তারা স্থায়ী না অস্থায়ী, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ক্লাসের সংখ্যা, স্মার্ট ক্লাস, পানীয় জলের ব্যবস্থা, আলাদা শৌচালয়— এগুলি দেখা হবে। অবস্থান বলতে স্কুলটি যেখানে অবস্থিত, সেই জায়গাটির গুরুত্ব কী সেটা দেখা হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পার্ক স্ট্রিট বা সল্টলেকের কোনও বেসরকারি স্কুলের ফি যা হবে, হাওড়া বা বিরাটি বা দমদমের কোনও স্কুলের ফি তা হবে না। ফি বছরে একবারই বাড়ানো যাবে। ফি বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, অভিভাবকদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই কোথাও কোথাও ফি বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। একেকটা ক্লাসের একেক রকম ফি। যার প্রতিবাদে চলতি বছরই শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। এই অভিযোগের কারণেই গত বছর টাউন হলে বেসরকারি স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। স্কুলের নাম করে করে কেন অতিরিক্ত ফি এবং ডোনেশন নেওয়া হচ্ছে তা জানতে চান। এবং এগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি স্কুলকে নিয়ে একটি স্বনিয়ন্ত্রিত কমিশন গড়ে দেন। দপ্তরের আধিকারিক এবং এই স্কুলগুলির পক্ষ থেকে আলাপ–আলোচনা করে খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।