কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিজেপি–বিরোধী জোটে সায় নেই একাধিক আঞ্চলিক দলের। গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে বিরোধীদের সার্বিক জোটে কার্যত অনিবার্য হয়ে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্য মজবুত করার লক্ষ্যে আবার দিল্লি সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি মাসে এটা হবে তাঁর দ্বিতীয় দিল্লি সফর। বৈঠক করবেন সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীদের সঙ্গে। ২০১৯–এ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে গদিচ্যুত করতে মমতা ব্যানার্জির মস্তিষ্কপ্রসূত তৃতীয় বিকল্প বা ফেডারেল ফ্রন্টও মোটামুটি বাস্তবিক রূপ নিতে পারে তাঁর দিল্লি সফরের সময়ে, এই অগাস্ট মাসেই। তৃণমূল সূত্রের খবর, ২৮ অগাস্ট রাতে দিল্লি পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। ৩০ তারিখ সব কটি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। বলা হচ্ছে, ওই বৈঠকে মূলত সংসদের শীত অধিবেশনে বিরোধীদের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু, মমতা পৃথকভাবে বৈঠক করবেন কয়েকজন নেতার সঙ্গে। তার আগে ১৬ অগাস্ট দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে একটি সভা ডেকেছেন এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার। তাতে মমতা থাকবেন না। প্রতিনিধি পাঠাবেন।
এই মুহূর্তে কংগ্রেসের সঙ্গে সপা ও বসপা–র জোট মোটামুটি স্পষ্ট। কিন্তু, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে একাধিক আঞ্চলিক দল সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে শামিল হতে নারাজ। সেই জন্য এখন এমন কাউকে এগিয়ে আসতে হবে, যাঁকে সামনে রেখে এগিয়ে আসবে টিডিপি এবং শিবসেনা, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও আপ, এবং বিজেডি। রাজ্যের বাধ্যবাধকতার কারণে এই দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে যাবে না। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে জোট হলে তাতে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস যোগ দিলেও এই আঞ্চলিক দলগুলির আপত্তি থাকবে না। এনডিএ সরকারকে পরাস্ত করতে ঠিক এই সুযোগটাই এখন কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা।