আজ শনিবার, আলিপুরে ভাঙড়ের সমস্যা সমাধানের পথে বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন প্রশাসনিক কর্তারা। সম্ভবত এই বৈঠকেই বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের জট খুলতে চলেছে। জমি কমিটির নেতা ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে শনিবার আলিপুরের নব প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স হলে বৈঠক করবেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, পুলিস সুপার অরিজিৎ সিনহা–সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। বৈঠকে ভাঙড়ের সমস্যা সমাধানের পথে বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আর্থিক সাহায্যের দাবি নিয়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
ভাঙড়ের সমস্যা সমাধানের পথে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশানের আঞ্চলিক সাবস্টেশন করার জন্য ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিনিময়ে তাঁরা তাঁদের কিছু দাবি রেখেছেন। যার বেশিরভাগই মেনে নিয়েছে প্রশাসন। যদিও ক্ষতিপূরণ নিয়ে একটু জটিলতা রয়েছে। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়েই দু’পক্ষ আলোচনা করবে। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নিয়ে একটা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে এলাকার নিকাশি, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংস্কার, পাকা বাড়ি নির্মাণ–সহ সরকারি সুযোগ–সুবিধার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে।
এদিকে, গত বছর ১৭ জানুয়ারি ভাঙড়ে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন বিরোধী আন্দোলনের অবরোধ–বিক্ষোভে শামিল হয়ে জনতা–পুলিসের খণ্ডযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন ২৬ বছরের যুবক মোফিজুল ইসলাম। তাঁর পরিবার এই ক্ষতিপূরণের দিকে চেয়ে আশায় বুক বেঁধেছে। বাবা শুকুর আলি খান বলেন, ‘সরকার বলেছে এখানে পাওয়ার গ্রিড হবে না। সাবস্টেশন হবে। আমরা তা মেনে নিয়েছি।’ তাঁর আশা, এখানে সাবস্টেশন হলে তাঁদের এক ছেলে চাকরি পাবে। আর্থিক ক্ষতিপূরণও পাবে পরিবার।