গত ম্যাচের গোলদাতা হেনরি কিসেকার জ্বর হওয়ায় এ দিনের ম্যাচে শুরু থেকেই নেমেছিলেন ডিপান্ডা ডিকা। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন আজহারউদ্দিনরা। দুই প্রান্ত ব্যবহার করে আজহারউদ্দিন, অভিষেক আম্বেকর, অরিজিৎ বাগুইরা একের পর এক ক্রস তুলে আনছিলেন। কিন্তু রেনবো গোলকিপার দিব্যেন্দুর অসাধারণ গোলকিপিংয়ের জন্য গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না ডিকারা। তার মধ্যেই ৪১ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীত ফ্রিকিক থেকে গোল করে রেনবোকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক অভিজিৎ সরকার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজের তুরুপের তাস বের করলেন মোহন কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। শিল্টন ডি সিলভাকে তুলে নামালেন অভিজ্ঞ মেহতাব হোসেনকে। আর এই একটা পরিবর্তনেই পাল্টে গেল খেলার রং। ৪৯ মিনিটের মাথায় মেহতাবের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে সমতা ফেরান ডিকা। এরপর একের পর এক আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান। ৬৯ মিনিটের মাথায় অভিষেক আম্বেকরের শট রেনবো ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। ঠিক চার মিনিট পরেই কর্নার থেকে মেহতাবের ক্রস সেকেন্ড পোস্টের দিকে থাকা কিংসলে হেড করেন। সেকেন্ড বলে মাথা ছুঁইয়ে ৩-১ করেন আজহারউদ্দিন মল্লিক।
ঠিক যখন মনে হচ্ছে সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে মোহনবাগান সেই মুহূর্তেই ৮৩ মিনিটের মাথায় নিজের আউটিংয়ে ভুল করেন শিল্টন। ডিফেন্ডারের সঙ্গে তাঁর ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে ব্যবধান কমান সানডে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। মোহনবাগান জেতে ৩-২ গোলে।
এই জয়ের ফলে এই মুহূর্তে লিগের লড়াইয়ে এক নম্বরে উঠে এলো সবুজ-মেরুন শিবির।