“তাঁর আমলেই সুশাসন পেয়েছে বাংলা। এবার দেশের জন্য তাঁকে নেতৃত্বের প্রথম সারিতে আসতে হবে”। জম্মু–কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লার এই মন্তব্যেই পরিষ্কার, জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোটের দলগুলি নেতৃত্বের প্রশ্নে আস্থা রাখছেন তৃণমূল নেত্রীর উপরই।
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ওমর আবদুল্লা। সেখানে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবে, আলোচনায় উঠে আসে সেই বিষয়টিও। তবে জোটের পথ মসৃণ করতে প্রকাশ্যে ওমর আবদুল্লা বলেন, “বিজেপি বিরোধী দলগুলি সবাই মিলে আগে বিজেপিকে হারাতে হবে। ফেডারেল ফ্রন্টের লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। এব্যাপারে তৃণমূলের সঙ্গে এনসি–র কোনও পার্থক্য নেই, কারণ, দুটি দলই তাদের রাজ্য এবং দেশের ভালো চায়।” মমতার কথায়, “জোটের লক্ষ্য মোদীকে সরানো। সেখানে কোনও একজন নেতা বা নেত্রীর নাম প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য তোলা অনুচিত।”
বিরোধী জোটের পালে হাওয়া লেগেছে আগেই। এখন তা এগিয়ে যাওয়ার পালা। ১৯–শের লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে লড়বে। গেরুয়া শিবিরের কপালে চিন্তার ভাঁজ ধরিয়ে ক্রমশ তার ইঙ্গিত স্পষ্ট।
জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিও উঠে আসে এদিনের আলোচনায়। ওমর ও মমতার মধ্যে কথা হয় সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন উপত্যকার অবস্থায়। বিজেপির জন্যই এই বেহাল পরিস্থিতি বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধীদের অভিযোগ, দেশে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি। সংখ্যালঘু কাছে ভীতিজনক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই বিষয়টি আলোচনা উঠে এলে তা নিয়ে মমতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ওমর আবদুল্লা।
দলের দাবি উড়িয়ে কংগ্রেস সভাপতি আগেই বলেছেন, ১৯শে বিরোধী জোটের পক্ষে তৃণমূল নেত্রী প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর আপত্তি নেই। তাঁকেই জোটের মাসিহা বলে মেনে নিয়েছেন টিআরএস, টিডিপি সহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দল। এদিন নবান্নে একধাপ এগিয়ে ওমর বললেন দেশের জন্য নেতৃত্ব দিক মমতা। যার সম্মিলিত ইঙ্গিত বিজেপি বিরোধী জোটের ব্যাটন তৃণমূল সুপ্রিমোর হাতেই।