মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় রেকর্ড ভিড়ের দাবি করেছিল বিজেপি। সেই দাবিকে ঠুঙ্ক প্রমাণে তৎপর তৃণমূল। ২৮শে জুলাই মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে তৃণমূল যুব সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির সভায় রাজ্যের শাসক দলের জনভিত্তি দেখবে রাজ্য।
এই সভাকে ঘিরে মূলত দুটো দিক থেকে বিজেপিকে টেক্কা দিতে চাইছে তৃণমূল। এক, সভায় অনেক বেশি লোক জড়ো করা, যাতে সংখ্যাটা প্রধানমন্ত্রীর সভাকে ছাপিয়ে যায়। দুই, কোনও বিপত্তি ছাড়াই সভার কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা।
তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি জানান, ‘২৮শের সভায় প্রধানমন্ত্রীর সভার চেয়ে অনেক বেশি লোক হবে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম, অবিভক্ত মেদিনীপুরের এই তিন জেলার প্রতি বুথ থেকে ১০০ জন করে তৃণমূল কর্মী–সমর্থক আসবেন। মাঠ উপচে ভরে যাবে সারা শহর। এত লোক হবে যে, বিজেপি কল্পনাও করতে পারবে না।’ সভায় অভিষেক ব্যানার্জি ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চাট্যার্জি, সুব্রত মুখার্জি–সহ রাজ্য নেতারা।
ছাউনি ভেঙেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল প্রধানমন্ত্রীর সভায়। আহত হয়েছিলেম ৯৯জন। বিজেপি নেতারা আহতদের খোঁজ না নিলেও দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জন আর্থিক সাহায্যও দেয় রাজ্য সরকার। তাই ২৮ জুলাই মেদিনীপুর কলেজ ময়দানের সভায় শ্রোতাদের বসার জন্য থাকবে না কোনও ছাউনি। খোলা আকাশের নিচেই হবে সভা। বৃষ্টি পড়লে ছাতা ব্যবহার করবেন নেতৃত্ব ও সভায় আসা লোকজন। প্রবল বর্ষণ হলে দরকারে সভার সময় এক–আধ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হবে। ২৮ জুলাইয়ের সভা ঘিরে এখনও পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।