ফ্রান্সের গ্রুপ পর্ব
‘সি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ২০০৬ সালে শেষ ষোলো খেলা অস্ট্রেলিয়া। আন্তোয়ান গ্রিয়েজমান ও কিলিয়ান এমবাপের আক্রমণভাগকে দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিল সকারুরা। প্রথমার্ধ তারা অক্ষত রাখে গোলপোস্ট। কিন্তু বিরতির পর ‘বিতর্কিত’ গোলে তাদের পেছনে ফেলে ফরাসিরা। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির দেওয়া পেনাল্টিতে লক্ষ্যভেদ করেন গ্রিয়েজমান। কয়েক মিনিট পর জেডিনাকের পেনাল্টি গোলে অস্ট্রেলিয়াকে সমতায় ফিরেছিল। কিন্তু শেষ দিকে পল পগবার দারুণ নৈপুণ্যে আজিজ বেহিচের আত্মঘাতী গোলে জেতে ফ্রান্স। ২-১ গোলের জয়ে শুভ সূচনা হয় তাদের।
দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতে ফ্রান্স। দেশের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করেন ১৯ বছর ১৮৩ দিন বয়সী এমবাপে।
টানা দুটি জয় পাওয়া ফ্রান্স শেষ ম্যাচে ড্র করে। ডেনমার্কের বিপক্ষে তাদের গোলশূন্য ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নকআউটে ওঠে তারা।
ফ্রান্সের নকআউট পর্ব
শেষ ষোলো: গ্রুপের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে খাদের কিনারা থেকে উঠে আসা আর্জেন্টিনাকে শেষ ষোলোতে পায় ফ্রান্স। এমবাপের আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোলে দারুণ শুরু করে তারা। গ্রিয়েজমানের গোলে এগিয়ে যায়। যদিও বিরতির আগে আনহেল দি মারিয়ার অসাধারণ গোলে সমতা ফেরায় আর্জেন্টিনা। বিরতির পরপরই গ্যাব্রিয়েল মেরকাদোর গোলে তো পিছিয়েই পড়ে ফ্রান্স। কিন্তু থমকে যায়নি তারা।
বেঞ্জামিন পাভার্দের গোলে সমতা ফেরানোর পর এমবাপের জাদুকরী দুই গোলে অবিশ্বাস্য জয় পায় ফ্রান্স। ৪-৩ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা।
কোয়ার্টার ফাইনাল: শেষ আটে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। শত্রু শিবিরের তারকা ফরোয়ার্ড এদিনসন কাভানির না থাকা ছিল ফরাসিদের জন্য দারুণ খবর। আগের চার ম্যাচে মাত্র এক গোল খাওয়া উরুগুয়ে এদিন ধরে রাখতে পারেনি ফ্রান্সের আক্রমণভাগকে। ৪০ মিনিটে রাফায়েল ভারানের গোলে এগিয়ে যায় ফরাসিরা। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের বাইরে থেকে গ্রিয়েজমানের বাঁ পায়ের শট উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফের্নান্দো মুসলেরার হাত ফসকে জড়ায় জালে। ২-০ গোলে জিতে সেমিফাইনালে ওঠে ফ্রান্স।
সেমিফাইনাল: অল-ইউরোপিয়ান সেমিফাইনালে ফ্রান্স পায় উড়তে থাকা বেলজিয়ামকে। বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার বীরত্বে পেরে উঠছিল না ফরাসিরা। তবে বিরতির পর স্যামুয়েল উমতিতির একমাত্র গোল গড়ে দেয় পার্থক্য। ওই গোলে ১৯৯৮ ও ২০০৬ পর বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল ফ্রান্স।