ক্ষমতা দখলের আগে হোক বা পরে, ‘এলিট’ তকমা কোনও দিনই তাঁর ছিল না। মানুষের মাঝে প্রোটোকল ভেঙে ঢুকে পড়াটাই তাঁর স্বভাব। শত বাধাতেও তিনি অকুতোভয়। তাঁর জীবন উৎসর্গ মানুষের সেবায়। তাই মানুষের সমস্যা সমাধানে তাঁর কোনও ক্লান্তি নেই। এই বিষয়েই তিনি স্বচ্ছন্দ। বলছি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা।
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ফাটাপুকুর এলাকার বাসিন্দা অনুকূল কুড়ি। ছোট্ট চায়ের দোকান চালিয়েই জীবন নির্বাহ তাঁর। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে উত্তরকন্যা থেকে চ্যাংরাবান্ধা যাবার সময় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দাঁড়ায় রাজগঞ্জের ফাটাপুকুর এলাকায়। নেত্রীকে দেখেই সমস্যার সমাধানের আর্জি জানানোর কথা মাথায় আসে ‘চাওয়ালা’ অনুকূলের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রচণ্ড ভিড়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়ে ওঠেনি অভাবের কথা। অনুকূলের কথা শুনতে না পেয়ে সেই সময় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তবে হাজারো ভিড়েও ওই প্রৌঢ়ের কিছু বলতে চাওয়ার আকুতি নজর এড়ায়নি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
একই পথে ফেরার সময় আবারও কনভয় দাঁড় করান ‘দিদিমণি’। এরপর নিজেই ভিড় থেকে অনুকূলকে খুঁজে নেন মুখ্যমন্ত্রী। ভালো করে তাঁর কথা শোনেন মমতা।তারপরই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিন মুখ্যমন্ত্রী। অনুকূলের ঘোর তখনও কাটেনি।এরপরই মিষ্টি খাওয়ার জন্য নগদ ৬০০০ টাকা বার করে প্রৌঢ়ের হাতে ধরিয়ে দেন মমতা।
এই ঘটনায় অবাক জলপাইগুড়ির ফাটাপুকুররের বাসিন্দারা। আবারও প্রমানিত মানুষের মাঝে, মানুষের সমস্যা সমাধানে আজও তিনি অনন্যা।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=c58P4wt0H7o[/embedyt]
(সৌজন্যে, নিউজ18 বাংলা)