সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে থেকেই ফেভারিট মানা হচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। এবারের আসরে দারুণ নৈপুণ্যের সঙ্গে নিজেদের মেলে ধরেছেন হ্যারি কেনরা। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচেও ইংল্যান্ড খেলল ফেভারিটদের মতোই। পুরো ম্যাচেই নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে কোচ গ্যারেথ সাউথ গেটের দল। হ্যারি মাগুইরে এবং ডেলে আলির গোলে ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে ২৮ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে।কাজান অ্যারেনায় প্রথমার্ধে সুইডেনের বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে খেলে ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের শুরুটা হয় একেবারে ম্যাড়মেড়ে। প্রথম ১২ মিনিটে বলার মতো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনোই দল। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে হ্যারি মাগুইরের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অ্যাশলে ইয়াংয়ের কর্নার থেকে বক্সের মধ্যেই বল পেয়েছিলেন মাগুইরে। দুর্দান্ত এক হেডে পোস্টের বাঁ দিক দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন লেস্টার সিটি ডিফেন্ডার। এর আগে ১৩ মিনিটের মাথায় ইংলিশ গোলরক্ষককে চমকে দিতে বক্সের অনেক বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন ভিক্টর ক্লাসেন। তার ডান পায়ের দূরপাল্লার শটটি ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ১৯ মিনিটে রাহিম স্টার্লিং দারুণভাবে বল টেনে একদম সুইডেনের বক্সের কাছাকাছি চলে যান। শেষ মুহূর্তে বল বাড়িয়ে দেন হ্যারি কেনকে। বক্সের একটু বাইরে মাঝ বরাবর জোরালো শটও নিয়েছিলেন কেন, তবে তা গোলপোস্টের ডানদিক দিয়ে চলে যায়।এরপর আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে বেশকিছু ভালো সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি সুইডেন। প্রথমার্ধের ঠিক আগ মুহূর্তে ৪৪ মিনিটে নিশ্চিত একটি গোলের সুযোগ মিস করেন রাহিম স্টার্লিং। বক্সের মধ্যে সুইডিশ গোলরক্ষক ওলসেনকে একা পেয়েছিলেন। সঙ্গে বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন আরও দুই সতীর্থ। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটে আরেকটি ধাক্কা খায় সুইডেন। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে বল পান লিনগার্ড, ক্রস করেন বক্সের মধ্যে। তাতে মাথা ছুঁইয়ে দেন বক্সের বাঁ পাশে থাকা ডেলে আলি। তার দুর্দান্ত হেডে ২-০তে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এরপর আক্রমণের ধার বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা মেলেনি সুইডেনের।