অপব্যয় রুখতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্য সরকরের ব্যয় সঙ্কোচ বিষয়ক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অপব্যয় রুখতে হবে। প্রয়োজনের বেশি টাকা খরচ করা যাবে না। সরকারি টাকায় বিলাসিতা না করে মানুষের কাজ করতে হবে। যেসব দপ্তরে কাজের তুলনায় টাকা বরাদ্দ বেশি করা হয়েছে সেখান থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে অন্য দপ্তরের কাজে লাগানো হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর ছাড়াও ব্যয় সঙ্কোচ বৈঠকে ছিলেন , রাজ্যের সব মন্ত্রী, আমলারা।
সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের কোষাগারে অবস্থা বেহাল। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বাড়তি মহার্ঘ ভাতা দিতেই লাগবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।ঋণশোধে বেড়িয়ে যায় বছরে ৪৬ হাজার কোটি। পরিকল্পনা খাতেও বরাদ্দ পাঁচগুণ বেড়েছে। এছাড়াও সরকারি সামাজিক প্রকল্প খাতেও খরচ হয়।ফলে রাজ্য সরকারের খরচ বেড়েছে। উল্টে কেন্দ্রের বরাদ্দ কমেছে বিভিন্ন প্রকল্পে। এই অবস্থায় খরচে লাগাম না টানলে উন্নয়নের বিভিন্ন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই রাজ্য সরকারি আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যয় সঙ্কোচের এই নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, খরচ কমাতে অর্থ দপ্তর সব দপ্তরের ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইসরদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে। ইঞ্জিনিয়রদেরও দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। দরপত্র ডাকা থেকে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সফল প্রকল্প রূপায়নের এই প্রশিক্ষণ দেবে পূর্ত দপ্তর । প্রকল্পের সমীক্ষায় বেসরকারি সংস্থাকে নিযোগ করা যাবে না। দরপত্র ঠিক মতো হচ্ছে কিনা তা দেখতে থাকবে স্ক্রিনিং কমিটি। এই কমিটিতে অর্থ দপ্তরের কর্মীরা ছাড়াও থাকবেন ইঞ্জিনিয়ররা। বরাদ্দ অর্থেই নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে হবে প্রকল্প। কমাতে হবে ভর্তুকির পরিমাণ। খরচ কমাতে সরকারি অনুষ্ঠানের জাঁকজমক কমানোরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখতেই সরকারি ব্যয় সঙ্কোচের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো শুরু হয়েছে ব্যয় সঙ্কোচের উদ্যোগ।