আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী। খরচ কমাতে ইতিমধ্যেই ১৫ দফা নির্দেশিকা জারি করেছেন মুখ্যসচিব মলয় দে। অতীতে একাধিকবার পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে খরচ কমাতে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। কিন্তু শুধু নির্দেশিকায় আটকে না-থেকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অফিসারদের বোঝাতে চান, খরচ কমানো কতটা প্রয়োজনীয়।
সরকারি নির্দেশিকায় গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। অফিসাররা বিলাসবহুল গাড়িতে চড়তে পারবেন না। কারা সরকারি গাড়ি পাবেন? নির্দেশিকায় তা স্পষ্ট করা হচ্ছে। গাড়ির তেল খরচ নিয়েও সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, লাঞ্চের ব্যবস্থা করলে ঢালাও খাবার নয়, ছোট প্যাকেটে সাধারণ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সেই প্যাকেটের দামও সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট করতে চলেছে সরকার। সরকারি শিলান্যাস অনুষ্ঠান মানেই এলাহি ব্যবস্থা। বেশিরভাগ সময় সরকারি আধিকারিক ছাড়াও বহিরাগতদের খাবার ব্যবস্থা করতে হয়। খরচও হয়। রাজ্য সরকারের ব্যয় সঙ্কোচের নির্দেশিকায় এই রাশ টানতেই জোনাল ও রিজিওনাল বৈঠকের বদলে ভিডিও কনফারেন্সের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা মেনে সরকারি দপ্তরে এসি-র যথেচ্ছ ব্যবহার রোখার কথা বলা হতে পারে।
নিয়ন্ত্রণ করলে খরচ কমানো সম্ভব। রাজকোষ প্রায় শূন্য। এই পরিস্থিতিতে তাই নির্দেশিকা জারি করেই সরকারি খরচ কমাতে চাইছে রাজ্য সরকার।