ফ্যাশন ট্রেন্ড আসবে। আবার চলেও যাবে। কিন্তু কিছু পোশাক আছে যা চিরকালীন। যে কোনও সময় পরুন। কখনও মনে হবেনা, আপনার স্টাইল আউটডেটেড। তবে এই মুহূর্তে ফ্যাশনে ইন, এমনই কিছু পোশাকের কথা জেনে নিন, যেগুলো আপনি নির্ভয়ে সংগ্রহে রাখতে পারেন। ফ্যাশনের অন্দরমহলে এদের দাপট দেখে মনে হচ্ছে, চিরকালীন ফ্যাশনবুকে নিজেদের আসনটি পাকা করে নিয়েছে।
এথনিক পোশাক দিয়েই শুরু করা যাক। স্বাভাবিকভাবেই শাড়ির প্রসঙ্গ উঠবে। এক কথায় শেষ করা যাবেনা। ভারতীয় ফ্যাশনে শাড়ির কদর থাকবেই। তবে শাড়ি যেমনই হোক না কেন, তার সঙ্গে মানানসই ব্লাউজ না হলে ফ্যাশন জমবেনা। একটা বোটনেক ব্লাউজ ওয়ার্ডরোবে থাকুক। এই বিশেষ কাটের ব্লাউজটি এখন বেশ জনপ্রিয়। সব ধরনের চেহারায় মানায়। সব ধরনের শাড়ির সঙ্গেও মানানসই। কাঁধের কাছটা খোলামেলা হওয়ায় শাড়ির ড্রেপ নিয়ে নানা ভাবে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন।
একটা একরঙা লম্বা ঝুলের কামিজ আপনার ওয়ার্ডরোবে থাকলে, তার সঙ্গে আপনি লং স্কার্ট, র্যাপ অ্যারাউন্ড স্কার্ট, পালাজো, ডেনিম বা লেগিংস- পছন্দ মতো টিম আপ করতে পারেন।
এবার আসি ওয়েস্টার্ন পোশাকের কথায়। জানেনই তো বেসিক সাদা বা কালো শার্ট থাকাটা মাস্ট। তবে একটা ওভারসাইজড শার্টও তার সঙ্গে থাকুক।এখন তো অ্যান্টিফিট স্টাইল স্টেটমেন্ট ফ্যাশনে ইন। হালফিলের ফ্যাশন ট্রেন্ড হলেও ওভারসাইজড শার্টের কদর খুব তাড়াতাড়ি যাবার নয়। কারণ নানা ভাবে স্টাইলাইজ করা যায়। সাদাই হতে হবে এমন কোনও কথা নেই কিন্তু। যে কোনও রঙ এমনকি প্রিন্টেডও মন্দ হবেনা।
শিফট ড্রেসও গত কয়েকবছর ফ্যাশনে দাপিয়ে রাজত্ব করছে। হাবেভাবে মনে হচ্ছে এই পোশাকটি ইতিমধ্যেই চিরকালীন ফ্যাশন স্টেটমেন্টের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে। তার কারণ আপনার দেহের গড়ন যেমনই হোক না কেন, এই পোশাকে আপনি কখনই বেমানান হবেননা।
কুলটস এখন ফ্যাশনিস্তাদের অন্যতম পছন্দের পোশাক। ঢিলেঢালা এই ক্যাজুয়াল বটমওয়্যারটি আরামদায়ক। টিম আপ করতে পারবেন স্মার্ট টপ, ক্রপ টপ, জ্যাকেট দিয়ে।
শেষ করবো কেপ দিয়ে। এই পোশাকটি যেন এক ম্যাজিশিয়ান। যে কোনও বোরিং ড্রেসকে মুহূর্তে ইন্টেরেস্টিং করে দিতে পারে। ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে তো বটেই কেপ এখন শাড়ির সঙ্গেও টিম আপ করা হচ্ছে।
লং কেপ বা শর্ট কেপ আপনার স্টাইল স্টেটমেন্টকে একটা আলাদা মাত্রা দেবে সন্দেহ নেই।