সচরাচর বিদেশে এটা দেখা যায়। জঙ্গল, সমুদ্র বা পাহাড়ের ঢালে ছোট্ট একটি ঘর। সেখানে রাতে টিপটিপ করে জ্বলে হলুদ আলো। এক মায়াবী পরিবেশ। পর্যটন–বিনোদনে এটা প্রাচীন আয়োজন। ইদানীং সেই সব বাংলোয় নতুন রূপও দেওয়া হয়েছে। প্রায় একই ধাঁচে এবার সেই রকম বাংলো তৈরি হবে সান্দাকফু, ফালুট ও টুংলুঙে। তবে এখনই তা পর্যটকদের জন্য নয়। যঁারা এই পথে ট্রেকিং করবেন, তঁাদের কথা ভেবে তৈরি হবে ছোট ছোট ঘর। রাজ্য পর্যটন দপ্তর এই কাজ করবে। জেলা প্রশাসন পর্যটন দপ্তরকে নিয়ে এখন সেই ঘর বানানোর জন্য জায়গা চিহ্নিত করেছে। টাইগার হিলে পর্যটকদের জন্য বাংলো তৈরির কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনি জটিলতা ছিল। পরে সেই জটিলতা কাটিয়ে টাইগার হিলে জোরকদমে নির্মাণকাজ এগোচ্ছে। পাহাড়ের অনেক জায়গায় বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে রয়েছে কিছু এমন ঘর। এবার একই ভাবে সান্দাকফু, ফালুট ও টুংলুঙে ট্রেকার্স হাট তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে পর্যটন দপ্তর।
সান্দাকফুতে পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকার জায়গা রয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফালুট ও টুংলুঙে থাকার জন্য তেমন কোনও জায়গাই নেই। তাই এই তিন জায়গায় ট্রেকার্স হাট তৈরি করা হবে। পাহাড়ি বাঁশ ও জঙ্গলের কাঠ দিয়ে বাংলোগুলি তৈরি করা হবে। তাতে সোলার লাইট থাকবে। সবুজের স্পর্শ থাকবে ঘরে। পর্যটকেরা ট্রেকিংয়ের পর চাইলে সেখানে থাকতে পারবেন। সিঙ্গালিলা ফরেস্টের মধ্যে দিয়ে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু ৩১ কিমি রাস্তা। সান্দাকফু থেকে ফালুটের দূরত্ব ২১ কিমি। প্রতিটি পথই দুর্গম। এই পথে ট্রেকিংয়ের অনুভূতি অন্য রকম। সেখানে রাতে থাকার বন্দোবস্ত করা গেলে পর্যটকেরা ভিন্ন স্বাদ পাবেন। পর্যটন দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, জমি–সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর্কিটেক্টরা ফিল্ড ভিজিট করেছেন। এবার দ্রুত ডিপিআর তৈরি হলেই হয়।’ পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন। আমরা মানুষের জন্য তা পূরণ করতে পর্যটনে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছি। রাজ্যের অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ ছাড়াও ভিন রাজ্য ও বিদেশ থেকে পর্যটকেরা ট্রেকিংয়ের জন্য এখানে আসেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ওই বাঁশ, কাঠ দিয়ে ট্রেকার্স হাট গড়ে তোলা হবে।’
(সংগৃহিত)