সমাধান হল বিশ্ববাংলা লোগো বিতর্কের৷ মুকুল রায়কে মিথ্যা প্রমাণিত করে কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে দিল যে, বিশ্ববাংলা লোগো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারেরই৷ হাইকার্টে এসে মোদী সরকারের প্রতিনিধি জানিয়ে দেন বিশ্ববাংলা লোগো মমতার সরকারেরই৷
শেষ পর্যন্ত সমাধান হল বিশ্ববাংলা লোগো বিতর্কের৷ বিজেপিতে যোগদান করে প্রথমেই মুকুল রায় যে বোমাটি ফাটান সেটি হল বিশ্ববাংলা লোগো কেলেঙ্কারির৷ মুকুল রায় কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলা লোগোটি আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তি৷
মুকুল রায়ের মন্তব্যের পরই বিশ্ববাংলা নিয়ে ঝড় শুরু হয়ে যায় গোটা বাংলায়৷ অচিরেই তা ছড়িয়ে পরে গোটা ভারতেই৷ প্রশ্ন একটাই৷ বিশ্ববাংলা লোগোটা কার? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় না রাজ্য সরকারের৷ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয় এই লোগো বিতর্ক নিয়ে৷ সেই মামলার পরিপেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার৷ মোদী সরকার হাইকোর্টে সাফ জানিয়ে দেয় যে, বিশ্ববাংলা লোগো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারেরই৷
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আরও জানিয়ে দেন যে, কেন্দ্রের ট্রেডমার্ক অথরিটি বিশ্ববাংলা লোগোটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নামেই নথিভুক্ত করেছে৷ যদিও বিতর্ক উস্কে দিয়ে তিনি আরও জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই লোগোর জন্য আবেদন করেছিলেন৷ তবে, সেই আবেদনপত্রটি আজ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় নি৷
কেন্দ্রীয় সরকারের হলফনামা দিয়ে এই স্বীকৃতি, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মমতার সরকারের হাতে যে নতুন করে অস্ত্র তুলে দিল তা বলাই যায়৷ বিজেপিতে যোগদান করার পরই বিশ্ববাংলা নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন মুকুল রায়৷ এবার সেই বিজেপি সরকারের তরফ থেকেই বিশ্ববাংলা লোগোকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো বলে স্বীকৃতি দিয়ে মুকুল রায়ের সব অভিযোগে একপ্রকার জল ঢেলে দেওয়া হল৷
হাইকোর্টে নিজের দলের সরকারের তরফ থেকেই মমতার সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়ায় মুকুল রায় এবার কি বলেন, তা নিয়ে আগ্রহে থাকবেন বাংলার আমজনতা৷ তবে শুক্রবার মুকুল রায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই হলফনামা নিয়ে কিছু বলতে চান নি৷
যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হলফনামা দিয়ে, মমতাকে ক্লিনচিট দিয়ে হাইকোর্টে রাজ্যের হয়েই সাফাই দিলেন, তাতে মুকুল রায় যে অচিরেই বিশ্ববাংলা নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ব্যঙ্গের মুখে পড়তে চলেছেন তা বলাই যায়৷ আপাততঃ বিশ্ববাংলা নিয়ে যুদ্ধে, মুকুল রায়কে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করলেন তাঁর একসময়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷