পর্তুগাল ও স্পেনের ম্যাচ বিশ্বকাপে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ক্ষেত্রে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিতে বাধ্য করল বিদ্যুৎ দপ্তরকে। শুক্রবার রাতে ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচে লোডশেডিংয়ের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে দপ্তরে। আর সেই কারণেই দপ্তরের কর্তাদের কাছে রিপোর্ট চাইলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী সব ম্যাচ দেখতে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন, ম্যাচ চলাকালীন লোডশেডিং করে ‘ক্যাপাসিটি অ্যাডজাস্ট’ করা যাবে না। লোডশেডিং যেন না হয়। প্রতিটি সাব স্টেশনেও পর্যাপ্ত কর্মী-আধিকারিক রাখতে হবে। গাফিলতিতে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
তবে রোনাল্ডো-কোস্তার ডুয়েল দেখতে আচমকা এতটা লোড বাড়তে পারে, তা আঁচ করতে পারেননি কর্তারা। এর পিছনে কয়েকটি কারণ আপাতত স্পষ্ট। নিগমের কর্তারা জানিয়েছেন, ইদের উৎসবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অনেক সংযোগ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু ক্ষেত্রে সম্মতি নেওয়া হয়নি। উৎসবের আমেজে একসঙ্গে এক একটি এলাকায় ডিজে, বক্স বাজানো হয়েছে। এতেই লোড বেড়ে যায়। পাশাপাশি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের প্রবল গরমে স্বস্তি পেতে এসি লাগানো হয়েছে। বণ্টন সংস্থার কর্তাদের বক্তব্য, অনেকক্ষেত্রেই এসিগুলি লাগানো হয়েছে অনুমতি ছাড়াই। এবং ম্যাচ চলাকালীন প্রায় ঘরে টিভি, ফ্যান চলেছে বেশি বেশি করে। ফলে আচমকা বাড়তি লোড পড়ে যাওয়ায় ‘ট্রিপ’ করে গিয়েছে লাইন। ট্রান্সফর্মারের উপর বেশি লোড পড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং করে ‘ক্যাপাসিটি অ্যাডজাস্ট’ করতে হয়েছে। কর্তাদের বক্তব্য, এমন না করলে ট্রান্সফর্মার উড়ে যেতে বা বসে যেতে পারত। তাতে বিভ্রাট বাড়ত।