দক্ষিণ মুম্বইয়ের বালার্ড এস্টেটের সিন্ধিয়া হাউসে আয়কর দপ্তরের কার্যালয়। আয়কর বিভাগের ডেবট’স রিকভারি ট্রাইব্যুনাল (ডিআরটি)–র অফিসও রয়েছে সেখানে। সেখানেই আগুন লাগে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু চিন্তা ঘনিয়েছে আয়করের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে। ঋণখেলাপের মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে সিন্ধিয়া হাউসের ডিআরটি–র ওই অফিসে। আগুনের কবল থেকে সেগুলো সুরক্ষিত রয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আগুনের কবলে কি সেখানকার সব নথিপত্র পুড়ে গেছে? প্রশ্নের উত্তরে মুম্বইয়ের আয়কর দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল এ এ শঙ্কর কোনও মন্তব্য করেননি।
ছ’তলা সিন্ধিয়া হাউসের তিনতলায় আয়কর দপ্তরের অফিস। বিকেল ৪টে ৫৫ মিনিট নাগাদ সেখানে আগুন ছড়ায়। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অফিসে আগুন লাগলেও সংরক্ষিত মূল্যবান নথিপত্র বাঁচাতেজীবনের তোয়াক্কা না করে সেখানে ঢুকে পড়েন ডিআরটি–র ৫ জন কর্মী। দমকলকর্মীরা তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করেন। নিরাপত্তারক্ষী অভিজিৎ পালের কথায়, আগুন লেগেছিল একটা বন্ধ ঘরে। সেখানকার কর্মীরা সব ছুটিতে ছিলেন। তাঁরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন।ডিআরটি কর্মীদের দাবি, সিন্ধিয়া ভবন কড়া নিরাপত্তায় মোড়া। সেই বলয় ভেদ করে কারও পক্ষে ভেতরে ঢুকে পড়া সহজ নয়।
ডিআরটি–র এক কর্মী বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটে হবে। পোড়া গন্ধ পেয়ে আমরা সেখান থেকে লোকজনকে সরানোর চেষ্টা করি।’ অপর এক ডিআরটি কর্মী বলেছেন, অফিসে প্লাইউড থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের কাগজপত্র আছে সেখানে। ঋণখেলাপির মামলায় বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে আয়কর দপ্তর যে সমস্ত নথি সংগ্রহ করেছিল, সে সব ওখানেই ছিল। দুর্ঘটনাস্থলে যে সব নথি ছিল তার কোনও প্রতিলিপিও নেই। ফলে সেগুলো নষ্ট হয়ে থাকলে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে যে গরিব কৃষকদের ঋণের নথি যেখানে থাকে সেখানে আগুন লাগে না কিন্তু যারা ঋন নিয়ে দেশ ছেড়ে পালায় তাদের ঋণের নথি পুড়ে যায় ….