ভোটে নেই কোর্টে আছি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা থেকেই বিজেপি সহ বিরোধীদের লড়াইয়ের ময়দান ছিল কখনও কলকাতা হাইকোর্ট আবার কখনও সুপ্রিম কোর্ট। তবে শেষ পর্যন্ত গো হারান হারতে হয়েছে বিজেপিকে। কিন্তু এই হারকে মানতে রাজি নন মুরলিধর সেন লেনের নেতারা। তাই এবার হাস্যকর দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলো বিজেপি ঘনিষ্ট বুদ্ধিজীবী মঞ্চ। ভোট মিটে যাওয়ার সাতদিন পরে গোটা ভোটকে বাতিলের দাবি জানিয়ে সোমবার এই গেরুয়া মঞ্চের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন রাজ্য বিজেপি সহ সভাপতি চন্দ্র বসু। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় ও দেবাশীষ বসাকের এজলাসে মামলাটি ওঠে। আগামী ২৯সে জুনের মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের কাছে ভোটের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ৬ই জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
চন্দ্র বসুর দাবি , ‘ পঞ্চায়েত ভোটে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা হয়েছে। ভোটের নামে তামাশা হয়েছে তাই সম্পূর্ণ ভোট বাতিল করা হোক।’
তৃণমূলের অভিযোগ , পঞ্চায়েত ভোটকে স্থগিত করতে বামদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে নির্বাচনের আগে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল দিলীপ ঘোষরা। একবার নয়, বারবার । নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে বিজেপির মামলা করার বিষয়টা সাধারণ মানুষ খুব একটা ভালো চোখে নেয়নি। বিরোধীদের করা জবাব দিয়েছে ভোটের ব্যালট বাক্সে। রাজ্যের শাসক দলের কাছে খড়খুঁটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিজেপি। এই পরাজয়কে সহজে মানতে পারছেন না গেরুয়া শিবির। কিন্তু আবারও সরাসরি দলের পক্ষ থেকে আদালতের দরজায় কড়া নাড়লে ভুল বার্তা পৌঁছাবে মানুষের কাছে। কারণ ভোট সম্পূর্ণ হওয়ার পর ভোট বাতিলের দাবি মানে সরাসরি মানুষের রায়কে উপেক্ষা করা। তাই দলের তরফে সোজাসুজি আদালতে না গিয়ে বুদ্ধিজীবী মঞ্চের মাধ্যমে ভোট বাতিলের দাবি তোলা হচ্ছে।