উইং দিয়ে বিদ্যুৎগতিতে উঠে পড়া।আচমকা কাট করে বক্সের মধ্যে ঢুকে যাওয়া। গোলার মতো শট। হাফভলি বা ব্যাকভলি দেখে উত্তাল গ্যালারী । পছন্দের ফুটবলারের চোখধাঁধানো পারফরম্যান্স। বিশ্বকাপের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। মাঝে একটা মাস | তারপরেই শুরু বিশ্বকাপ | দুর্গা পুজোর পর বাঙ্গালির সব থেকে বড় উৎসব |
চারবছরের অপেক্ষা। রাত জেগে খেলা দেখা। প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটানো। পছন্দের ফুটবলারের ছবিতে ঘর থেকে রাস্তার দেওয়াল ছেয়ে দেওয়া। তৈরি হচ্ছে কলকাতাও। দরজায় যে কড়া নাড়ছে সে।
পাড়ায় পাড়ায় লড়াই। বিশ্বকাপ এলেই শহর কলকাতায় ব্রাজিল–আর্জেন্টিনায় বিভক্ত হয়ে যাওয়া। তিকিতাকার স্পেন বা ফাইটার জার্মানরা আছে ঠিকই কিন্তু অকৃত্রিম ভালবাসা আটকে সেই ব্রাজিল- আর্জেন্টিনায় | মূলতঃ ব্রাজিলে | কলকাতা যে রিও’ র বাইরে আরেক রিও | ব্রাজিলের বাইরে আরেক ব্রাজিল | নেইমার না মেসি ? কার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ? নাকি ওদের ছাপিয়ে যাবেন রোনাল্ডো। নাকি ২০১০ এর মতো জাদু দেখাবে স্পেন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিও কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। ফ্রান্সকেও বাদ দেওয়া যাবে না | বেলজিয়াম এবার ডার্ক -হর্স |
ইউরোপ নাকি লাতিন আমেরিকার দেশগুলির কাছে অপয়া। যতবারই ইউরোপের দেশে বিশ্বকাপ হয়েছে কাপ নিয়ে গেছে কোনও না কোনও ইউরোপিয়ান দেশ। ব্যতিক্রম ১৯৫৮ সালে। সুইডেনে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। সতেরো বছরের পেলের প্রথম বিশ্বকাপ | চোখ ধাঁধানো ফুটবল | জিঙ্গা | আজকের সাম্বা | জোগা বোনিতো | এবার কী হবে?
রাশিয়ার প্রচন্ড ঠাণ্ডায় ইউরোপিয়ান দেশগুলি বাড়তি সুবিধা পেতে পারে । তবে বিশ্বকাপ তো, সব দলই প্রস্তুত হয়ে আসবে। ২০১৪–য় ব্রাজিলে বিশ্বকাপ জিতেছিল জার্মানি। তাই মিথ ভাঙতে পারে এবারও | সেই ১৯৫৮’র মতন |
৪ বছরে কত নতুন তারকা আসে । আবার চলেও যায়। হয়ত এটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে মেসি–রোনাল্ডোর। ক্লাব ফুটবলে আপ্রতিরোধ্য হলেও দেশের হয়ে মেসির পারফরমান্স তেমন নয় | তিনি মারাদোনা হতে পারেননি | তিনি জানেন এটাই হয়ত তার শেষ সুযোগ। রোনাল্ডো ইউরো জিতে আছেন। বিশ্বকাপটা ঝুলিতে পোরার জন্য ঝাঁপাতে তৈরি পর্তুগিজ তারকা।
আর ক’দিন পরেই রাশিয়ায় পৌঁছতে শুরু করবে দেশগুলি। শুরু হবে ব্যস্ততা। নিরাপত্তা থাকবে কঠোর। ১৪ জুন প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার সামনে সৌদি আরব। এখন শুধুই প্রতিক্ষার শেষ প্রহর গোনা।আসছে | বিশ্বকাপ | বাঙ্গালির বিশ্বকাপ |