আপনি কি ভ্রমণবিলাসী? তাহলে চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো, জিরো গ্র্যাভিটিতে শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছেন। দিনে ১৬ বার সূর্যগ্রহণ ও সূর্যাস্ত দেখার মতো বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষীও হচ্ছেন।
যদি মনে হয়, এসব আকাশকুসুম কল্পনা, তাহলে ভুল ভাবছেন। শুধু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন আর চারটি বছর। কারণ ২০২২ সালে মহাকাশে খুলবে বিশ্বের প্রথম বিলাসবহুল স্পেস হোটেল, নাম-‘অরোরা স্টেশন’। তৈরী করবে মার্কিন স্পেসটেক স্টার্টআপ, ‘ওরায়ণ স্প্যান’। পকেটে অঢেল রেস্ত থাকলেই নিশ্চিন্তে দিনকয়েক থেকে আসতে পারেন সেখানে।
অবশ্য সংস্থার তরফে ফ্র্যাঙ্ক বাঙ্গার দাবি, এটাই নাকি হতে চলেছে সবচাইতে সস্তার মহাকাশ ভ্রমণ। কারণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহাকাশ ভ্রমণ আগেও হয়েছে। তবে তাতে খরচ ছিল অনেক বেশি। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে ডেনিস টিটো নামের এক ব্যক্তি নাকি সাত দিনের মহাকাশ ট্রিপে খরচ করেছিলেন প্রায় দুই কোটি মার্কিন ডলার। আর সেখানে, ওরায়ণ স্প্যানের ১২ দিনের ট্রিপে খরচ মোটামুটি ৯৫ লক্ষ মার্কিন ডলার। বুকিং করা যাবে ৮০ হাজার ডলার দিয়ে। লাগবে মাস তিনেকের একটি প্রশিক্ষণও। কিন্তু অভিজ্ঞতা হবে পুরোদস্তুর মহাকাশচারীদের মতো।
ভালো, তাহলে আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি করা যাবে ১২ দিনের এই মহাকাশ ট্রিপে। ৩৫ ফুট বাই ১৪ ফুটার এই হোটেলে থাকতে পারবেন দুজন ক্রু মেম্বার সহ চারজন অতিথি। পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২০০ মাইল উপরে লো আর্থ অরবিটে ওড়ার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষি হতে পারবেন ভ্রমণকারীরা। সেখান থেকে যেমন মহাকাশ দেখতে পারবেন, তেমনিই দেখতে পারবেন পৃথিবীও। স্পেস হোটেলে থাকবে হাই স্পিড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা। ফলে হোটেলে ভেসে বেড়ানোর সময় পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটে কথা বলা যাবে অনায়াসে। সাক্ষি হতে পারবেন মহাকাশে খাবার তৈরী করা থেকে আরো নানারকম অভিনব পরীক্ষা নিরীক্ষারও।
শুধু এই সংস্থাই নয়, আগামীদিনে মহাকাশে হোটেল খুলতে উদ্যোগী হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা। সেক্ষেত্রে খরচও বেশ কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।