শুক্রবারই তৃণমূলের চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।এবার পাণ্ডবেশ্বর ও জামুড়িয়ায় নতুন মুখ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই দু’টি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং হরেরাম সিংহ। কিন্তু কেন? তৃণমূল সূত্রে খবর, এই দু’জন নেতা আগে নির্বাচনে না দাঁড়ালেও এরা জেলার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তাছাড়া শিল্পাঞ্চলের এই দুটি এলাকা শ্রমিক অধ্যুষিত। তাই দুই শ্রমিক নেতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। কারণ শ্রমিকদের সঙ্গে রোজকার যোগাযোগ রয়েছে তাঁদের।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিংহ ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। হরেরামবাবু ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বিএমএস অনুমোদিত খনি শ্রমিক সংগঠনের ইসিএল শাখার সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৯ সালে কেকেএসসি’র জন্মলগ্ন থেকেই ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তিনি। এক বছর আগে তাঁকে দলের অন্যতম জেলা কো–অর্ডিনেটরও করা হয়। এবার তাঁকেই প্রার্থী করে শ্রমিককূলকে বার্তা দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে ২০,০০০ ভোট বেশি পায়। সম্প্রতি জামুড়িয়ার ভূমিপুত্র কাউকে প্রার্থী করা হোক বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন দলেরই কয়েকজন। অণ্ডালের বহুলার বাসিন্দা হরেরামবাবুকে প্রার্থী করা হয়েছে। হরেরামবাবু বলেন, “দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি তা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করব। ইসিএল–এ রাজ্যের খনিগুলিতে কর্মী ৫৮,০০০ হাজার। তার মধ্যে ৩৫,০০০ কেকেএসসি’র সদস্য। প্রচারে সুফল অবশ্যই পাব।”
অতিসম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জিতেন্দ্র দলে থাকাকালীন তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপি থেকে যদি টিকিট পান তাহলে এই শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে তাঁকে। যা এককথায় বেশ কঠিন। পাণ্ডবেশ্বরের বাঁকোলার বাসিন্দা নরেন্দ্রনাথবাবুর টিকিট পাওয়ার অন্যতম কারণ, পাণ্ডবেশ্বরে দলের ব্লক সভাপতি হিসেবে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা। যার উত্তর মিলবে আগামী ২রা মে।