নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন জো বাইডেন। এবার দুই খ্যাতনামা ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে তাঁর ক্যাবিনেটে নিয়ে আসতে চলেছেন তিনি। এঁদের এক জন বিবেক মুর্তি। যিনি আমেরিকার প্রাক্তন সার্জেন জেনারেল ছিলেন। এবং অন্য জন বঙ্গসন্তান অরুণ মজুমদার। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক তিনি।
আমেরিকার দু’টি দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এবং ‘পলিটিকো’ মঙ্গলবার এই খবর দিয়েছে। এ-ও জানিয়েছে, দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূতকেই তাঁদের ক্যাবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে চাইছেন ভাবী প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, বাইডেন-হ্যারিসের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবে আগামী ২০ জানুয়ারি।
দু’টি দৈনিকের খবর, কোভিড সমস্যার মোকাবিলায় বাইডেনের উপদেষ্টাদলের শীর্ষে থাকা দু’জনের অন্যতম (‘কো-চেয়ার’) বিবেককে তাঁদের ক্যাবিনেটে স্বাস্থ্য ও মানবকল্যাণ সচিবের দায়িত্ব দিতে চাইছেন বাইডেন-হ্যারিস। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক বঙ্গসন্তান অরুণ মজুমদারকে ভাবী প্রেসিডেন্ট তাঁর ক্যাবিনেটে চাইছেন শক্তিসচিব হিসাবে। দু’টি দফতরই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ক্যাবিনেটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রচারের সময় থেকেই করোনা নিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেনের উপদেষ্টাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিল বিবেকের নাম। ২০১৪ সালে তিনি আমেরিকার ১৯তম সার্জেন জেনারেল হয়েছিলেন তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মনোনয়নে। সেই মনোনয়ন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেনেটের অনুমোদন পায়নি, বিবেক বন্দুক নীতির সমালোচনা করায়। নানা ধরনের মাদকদ্রব্য ও অ্যালকোহলে আসক্তির বিরুদ্ধে তাঁর রিপোর্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। আমেরিকার জনস্বাস্থ্য পরিষেবার কমিশনড কর্পসের ভাইস অ্যাডমিরাল ছিলেন বিবেক।
বাইডেন-হ্যারিস তাঁদের ক্যাবিনেটে শক্তিসচিব হিসাবে যাঁর কথা ভেবেছেন বলে আমেরিকার দু’টি দৈনিকের খবর, সেই অরুণ মজুমদার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেটিরিয়াল সায়েন্সের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জে প্রিকোর্ট প্রোভোস্টিয়াল চেয়ার প্রফেসর। প্রিকোর্ট ইনস্টিটিউট অব এনার্জির সহ-অধিকর্তাও তিনি। ২০০৯ সালে তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁকে অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রোজেক্ট এজেন্সি-এনার্জি (এআরপিএ-ই)-র প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা হিসাবে মনোনীত করেন, সেনেটের অনুমোদন নিয়ে।