বিহার ভোটে জেতার পর থেকেই সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। বারবার তাঁদের কথায় ঘুরে ফিরে আসছে, ‘এবার টার্গেট বাংলা’। এবার এই নিয়েই গেরুয়া শিবিরকে বিঁধল তৃণমূল। বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘বিজেপির টার্গেট বাংলা হবে কেন? টার্গেট হয় উচিত পাকিস্তান কিংবা চীন। তার বদলে বাংলা কেন? কোন রাজ্যকে এভাবে টার্গেট করা যায় না।’
সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলীয় নেতা ও মুখপাত্র ওমপ্রকাশ মিশ্রও। তাঁরা বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্টীয় কাঠামো রয়েছে দেশে। সেখানে গণতান্ত্রিক প্রথা মেনে নির্বাচন হয়। এই দেশ কেউ কারও টার্গেট হতে পারে না। এই নেতিবাচক রাজনীতি দূর্ভাগ্যজনক। বাংলার মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।”
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী থেকে আসাদউদ্দিন ওয়েসির মিম-সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করেন সুখেন্দুবাবু। মিম প্রসঙ্গে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে লড়তে চাইলে লড়বে। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই।’ শুভেন্দু সম্পর্কে বলেন, ‘উনি আমাদের দলের বিশিষ্ট নেতা, সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।’
বাংলাকে ৫ টি জোনে ভাগ করে পাঁচ নেতাকে সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। ওই পাঁচ নেতার প্রত্যেকেই ভিন রাজ্যের। এঁদেরকে বহিরাগত বলে তোপ দাগেন সুখেন্দুশেখর। তিনি বলেন, ‘বাংলায় একটা বহিরাগত ব্রিগেড এসেছে শুনেছি। তারা দাঙ্গা বাঁধাতে এসেছে নাকি ঘোড়া কেনাবেচা করতে কে জানে! বহিরাগতরা যে বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে সেটা বাংলার মানুষ বুঝতে পারছে। ভোটে এর যোগ্য জবাব দেবে।’