আজ তৃতীয়া। বাঙালির দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো। করোনা আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে সবাই আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেও তাঁদের কিছুই করার নেই। ছেলে-মেয়ে, আত্মীয় স্বজন, পরিবার সবকিছু থেকেও তাঁরা একদমই নিঃস্ব। প্রিয়জনদের ছেড়ে অনেক দূরে চলে এসে জীবনের শেষ দিনটির অপেক্ষা করছেন। দুর্গাপুজো, কালীপুজো-সহ যে কোনও উৎসবই তাঁদের কাছে আর পাঁচটা দিনের মতো শুধুই আর একটা দিন।
বৃদ্ধাশ্রমের সেই আবাসিকদের জীবনেও এদিন সন্ধ্যায় পুজোর আলোর রোশনাই পৌঁছে দিতে চেতলার এক বৃদ্ধাশ্রমে পৌছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরেরই এক বৃদ্ধাশ্রম নবনীড়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ইন্দ্রনীল সেন। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জন্য বেশকিছু উপহারও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্দ্রনীল সেন সেখানে গান পরিবেশন করেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে, গল্প করে আবাসিকদের মন ছুঁয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেও এখানে সময় কাটাতে পেরে খুব আনন্দিত বোধ করেন। এর পাশাপাশি অষ্টমীর দিন এই আবাসিকদের জন্যে ভোগের আয়োজন করতে নির্দেশও দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমকে।
নিজের মন ভাল করা এই অভিজ্ঞতার কথা আগেও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরে করোনা আবহে সাবধানী প্রত্যেকেই। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই দাঁড়িয়েছিলেন। ভবনের বারান্দা বা জানলা থেকে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সৌহার্দ্য বজায় করেছেন। গান শুনে আনন্দ প্রকাশ করেছেন তালি বাজিয়ে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় জানিয়েছেন, পুজো মাস্ক পড়ে, নিজেদের সুরক্ষিত রেখে চলতে হবে। নিজে ভাল থাকুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। টিভি’তেই ঠাকুর দেখুন। আপনাদের এবার বাইরে না যাওয়াই ভালো।