দিলীপ ঘোষের গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। তৃণমূলে যোগ দিলেন খড়গপুরের বিজেপির চার গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বেশ কয়েকজন কর্মী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সহকারী হিসেবে কাজ করা বেশ কয়েজজন নেতা বুধবার দুপুরে কলকাতায় এসে যোগ দেন তৃণমূলে। পাশাপাশি, খড়গপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মীও দল ছাড়েন।
খড়গপুরে তৃণমূলের জেলা সদর দফতরে দলবদল করেন চার বিজেপি নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন, সংসদ প্রতিনিধি কমিটির সদস্য রাজদীপ গুহ, বিজেপির খড়গপুর উত্তর মণ্ডল প্রাক্তন সভাপতি অজয় চট্টোপাধ্যায়, খড়গপুরে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শৈলেন্দ্র সিং ও খড়গপুরের বিজেপি নেতা সজল রায়। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মানুষের একটা অংশ গত লোকসভা ভোটে আমাদের সমর্থন করেননি। এখন তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপির ওপর মানুষ আস্থা হারাচ্ছেন, তাই খড়গপুরের উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে আশীর্বাদ করেছেন মানুষ।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, খড়পুরে চার বিজেপি নেতার দলবদল ২০২১-এর নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ দখলের নকসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের। সেখানেই সাংসদ তথা দলের জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ একের পর এক নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ঘাসফুল শিবির বাড়তি অক্সিজেন পাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
প্রায় প্রতিদিনই কলকাতা ছাড়াও জেলায় জেলায় বিরোধী নেতা ও কর্মীরা শিবির বদল করে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। কিছুদিন আগে এই খড়গপুর থেকেই দীর্ঘ ১১ বছর পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন প্রয়াত সিপিআই সাংসদ নারায়ণ চৌবের পুত্রবধূ ও প্রয়াত তৃণমূল নেতা গৌতম চৌবের স্ত্রী হেমা চৌবে। মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন তিনি। তাঁরই সঙ্গে কংগ্রেসের প্রাক্তন টাউন প্রেসিডেন্ট দেবাংশু গাঙ্গুলিও তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। তবে খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতির গড় থেকে তাঁর সহকারীদের দলবদল নিঃসন্দেহে দিলীপ ঘোষদের কাছে একটা বড় ধাক্কা।