ফের প্রকাশ্য রাস্তায় গোরক্ষকদের দাপাদাপি। এবার খাস রাজধানী দিল্লি থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্ব গুরুগ্রামে। প্রকাশ্য রাস্তায় হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হল যুবককে। প্রাণ বাঁচাতে প্রানপন চিৎকার করল সে। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারেও নীরব দর্শক পুলিশ। শুক্রবার সকালের এই ঘটনা ফের হরিয়ানার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
গুরুগ্রামের ঝকঝকে শহরাঞ্চলেই এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, লুকমান নামের ওই গাড়ির চালক একটি ছোট গাড়িতে মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোরক্ষকদের সন্দেহ হয় লুকমানের গাড়িতে গোমাংস আছে। তারা পিছু নেই ওই যুবকের। প্রায় ৮ কিলোমিটার তাড়া করার পর লুকমানকে ধরে ফেলে তারা। গাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে আনা হয় চালক লুকমানকে। তারপর রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন তথাকথিত গোরক্ষক। এরপর লুকমানকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি গ্রামে। সেখানে আবার মারধর করা হয় তাঁকে। ততক্ষণে খবর পেয়েছে পুলিশ। তাঁরা ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু অভিযোগ পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় ওই যুবককে। তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেনি।
ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শুধু অজ্ঞাতপরিচয় কিছু যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আরেকটা কাজ তাঁরা যেটা করেছে সেটা হল, লুকমানের গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত মাংস তাঁরা পাঠিয়েছে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য। যদি সেটা গোমাংস হয়ে থাকে তাহলে লুকমানের বিরুদ্ধেও শুরু হবে তদন্ত। যদিও ওই গাড়িটির মালিকের দাবি, বছর পঁচিশের ওই যুবক গোমাংস পাচার করছিলেন না। তিনি জামা মসজিদের কাছে একটি দোকানে মোষের মাংস দিতে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসার সঙ্গে তিনি যুক্ত।