বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৩৬ হাজার কোটি। কেন্দ্রীয় কর বাবদ রাজ্য পায় ১১ হাজার কোটি। ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত জিএসটি বাবদ প্রাপ্য ৩ হাজার কোটি। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্প বাবদ প্রাপ্য আরও ৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দাঁড়ায় মোট ৫৩ হাজার কোটি টাকা। আর এই পাওনা টাকাই দিচ্ছে না কেন্দ্র। উম্পুন পুনর্নিমাণে কেন্দ্রের দেওয়া মাত্র ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়া বাকি সব খরচই বহন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে রাজ্যের। তা ছাড়া সরকারের রেভিনউ কালেকশন এখন তলানিতে ঠেকেছে। সেই অবস্থাতেও বারুইপুর বাইপাসের সংস্কারের কাজের জন্য টাকা অনুমোদন করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। এই কারণে এবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সোমবার কামালাগাজি মোড় থেকে বারুইপুর বাইপাসের সংস্কারের কাজের শিলান্যাস করতে এসে ফিরহাদ বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার সময় এই বাইপাসের সাত কাটা জমি আটকে ছিল। তখন এসে কথা বলে সেই জট ছাড়িয়ে বাইপাস তৈরি করা হয়। কিন্তু এই কয়েক বছরে বাইপাসের ধারে বড় বড় বহুতল তৈরি হওয়ায় ভারী লরি যাতায়াতের ফলে এই রাস্তার ভগ্নদশা তৈরি হয়েছে। বিধায়ক ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাস্তার সংস্কারের কথা বার বার বলতে থাকেন। বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছিলাম। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সরকারের এই অবস্থাতেও ওই কাজের জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এই কঠিন সময়েও সরকার এই কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ করবে ভাবিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বার বার বলেন, কাজ করে যাও। কাজ করার ভাবনা থাকলে উপায় বের হবে। তাঁর সেই কথার ওপর ভর করেই এই কাজ শুরু করা হচ্ছে। বাইপাসের ১৪ আপ এবং ১৪ ডাউন মিলিয়ে মোট ২৮ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের কাজ হবে। সঙ্গে থাকছে নিকাশি ও আদি গঙ্গার দু’পাড়ে সৌন্দর্যায়ন। তা ছাড়া বেশ কিছু বিদ্যুৎস্তম্ভের কাজও করতে হবে। একবছর এই কাজের সময়সীমা ধরা হলেও আশা করব, দ্রুত কাজ শেষ করা হবে। ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। গতকাল তিনি বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এরাজ্যে সাম্প্রদায়িক দল পায়ের তলায় মাটি পাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের দশ কোটি মানুষ ভালবাসেন। মমতার নাম মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে।’