প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় সশরীরে হাসপাতালে দেখতে যেতে পারেননি। তবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন বারবার। খোঁজ রাখছিলেন, ছোট্ট শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতির গতিবিধির। যদিও শেষ অবধি ডাক্তাদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পুলকার দুর্ঘটনার জেরে গত শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে ঋষভ সিংহের। আর এদিন তাঁর বাবা সন্তোষ সিংহকে ফোন করে পরিবারের সবার খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময়াভাবে হাসপাতালে ঋষভকে দেখতে যেতে না পারায় আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন ঋষভের বাবা সন্তোষ সিংহকে। সন্তোষ সিংহ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সব সময় খোঁজ খবর নিলেও নিজে হাসপাতালে যেতে পারেননি ব্যস্ততার কারণে। আজ ফোন করে সে কথাই বললেন। পরিবারের সবার খোঁজ নিলেন। পাশে থাকারও আশ্বাস দিলেন। পুলকারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে বলেছেন আমাদের।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বাচ্চাদের স্কুলে আনার পথে পোলবার কামদেবপুরে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি পুলকার। ১৫ জন কচিকাঁচা ছিল গাড়িটিতে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের আঘাত ছিল গুরুতর। প্রচণ্ড গতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে একটি পোস্টে ধাক্কা মেরে নয়ানজুলিতে উল্টে যায় পুলকারটি।
এই দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছিল দুই ছাত্র ঋষভ সিং এবং দিব্যাংশু ভগত। গ্রিন করিডোর করে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাঁদের। চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছিল সাত সদস্যের মেডিক্যাল টিম। সেদিন রাতেই অস্ত্রোপচার হয় ঋষভের। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। প্রথম থেকেই আশঙ্কাজনক ছিল এই ছাত্রের অবস্থা। সময় যত এগিয়েছে ক্রমশ খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল সারা শরীরে। ডাক্তারদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় ঋষভের। যাবতীয় উৎকণ্ঠা শেষে শোকের ছায়া নামে শ্রীরামপুরের বেনিয়াপাড়ায় ঋষভদের বাড়িতে।