অনুষ্ঠান শেষে দরজার দিকে হাঁটছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখনই মঞ্চ থেকে শোনা গেল সঞ্চালিকার গলা, ‘জাতীয় সঙ্গীত শুরু হবে। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি একটু দাঁড়িয়ে যান।’ তা শুনে ফের নিজের জায়গায় ফিরে আসেন শাহ।
রাজধানী নয়াদিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির মঞ্চ ‘বিমস্টেক’-এর মাদক পাচাররোধ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। অনুষ্ঠানে এসে অন্য অভ্যাগতদের সঙ্গে সামান্য সৌজন্য বিনিময় ও বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরনের সঙ্গে মামুলি কথা ছাড়া খুব একটা সক্রিয় দেখা যায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। স্রেফ লিখিত ভাষণ পাঠ করেই নিজের জায়গায় বসে পড়েন তিনি। মাদক দমন শাখার পক্ষ থেকে উপস্থিত অভ্যাগতদের ধন্যবাদ দেওয়া শেষ হতেই আসন ছেড়ে উঠে পড়েন অমিত। পিছনে পিছনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা, মাদক দমন শাখার ডিজি রাকেশ আস্থানারা। তখনই তাঁকে ডাকেন সঞ্চালিকা মনীষা। কারণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা ছিল জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে। কিন্তু তার আগেই মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন অমিত শাহ।
এদিন, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা ছিল জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে। কিন্তু তার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন দেখে সঞ্চালিকা মনীষা মাইক্রোফোনে তাঁকে জাতীয় সঙ্গীতের জন্য অপেক্ষা করার অনুরোধ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ভাবে অনুরোধ করা ‘অত্যন্ত সাহসের কাজ’ বলেই মনে করছেন আমলাদের একাংশ। আবার অনেকের মতে, মনীষা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে বলে সমালোচনার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন। কারণ, অমিত চলে যাওয়ার পরে যদি জাতীয় সঙ্গীত হত, তাহলে দেশপ্রেমের প্রশ্নে তাঁকে প্রবল আক্রমণ করার সুযোগ নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতেন না বিরোধীরা। তবে যাই হোক না কেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জাতীয় সঙ্গীতের কথা মনে করিয়ে থামতে বলার জন্য যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন বলেই মনে করছেন সকলে।