বৃহস্পতিবার যখন চার মন্ত্রী অমিত শাহ, নীতিন গাডকরি, পীযূষ গোয়েল এবং নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে নিয়ে বাজেটের প্রস্তুতি বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তখন সেই বৈঠকে যোগ না দিয়ে ওই একই সময়ে দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে দলের বিভিন্ন মোর্চার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। উদ্দেশ্য ছিল, আগামী বাজেটে দলের কী প্রত্যাশা, তা জেনে নেওয়া।
এই মুহূর্তে বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, অর্থনীতির হাল নিয়ে বিজেপির নিচুতলার উদ্বেগের কথা। ওইদিন যার খানিকটা অর্থমন্ত্রীর সামনে প্রকাশও করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, সংসদের গত অধিবেশনের সময়ই বিজেপি সাংসদদের নির্বাচনী কেন্দ্রে গিয়ে গরিব, কৃষক, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন মোদী। ১১টি ক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। সাতটি ক্ষেত্রের সঙ্গে বৈঠক হয়ে গিয়েছে। তার রিপোর্ট দলের কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা ও নির্মলাকে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘অর্থনীতিতে ঝিমুনির ছাপ
স্পষ্ট। নগদের জোগান বাড়ানো দরকার। সবথেকে বড় বিষয়, বাজারে ‘সেন্টিমেন্ট’ ফেরানো দরকার। সেটা নেই বলেই লগ্নী আসছে না। সরকারের অনেক বেশি নজরদারির কারণে লগ্নী করতেও এগোচ্ছেন না অনেকে। এই ভয় দূর করতেই হবে।’ দলের আরেক নেতার বক্তব্য, ‘চাষবাসের খরচ বৃদ্ধিতে চিন্তায় কৃষকরা। গাড়ি শিল্পে চাহিদার অভাব। জিএসটি চালুর পর এখনও ধাতস্থ হতে পারেননি ছোট ব্যবসায়ীদরা। তাঁরাও নিজেদের হাজারো সমস্যার কথা জানিয়েছেন।’