শীত মরশুম মানেই বাঙালির মনে উৎসবের আমেজ। আর বাঙালি শীত রোদের আমেজ নিতে ছুটির দিনে খাবার নিয়ে ভাববে না এটা হতেই পারেনা। রোজকার ডায়েট খাবার কিংবা নরম্যাল খাবারের বাইরে শীতপ্রিয় বাঙালি শীতের সব্জির দিকে বেশি ঝোঁক থাকে। আর শীত মানেই ছোট আলু আর কড়াইশুঁটি। তাই এবারে রইলো ছোট আলুর আলুর দম ও কড়াইশুঁটির কচুরির রেসিপি।
কড়াইশুঁটির কচুরি
উপকরণ –
ছাড়ানো কড়াইশুঁটি ২০০ গ্রাম(বাটা), ময়দা ৫০০ গ্রাম, সাদা তেল ৫০০ গ্রাম, আদা বাটা(১ চা-চামচ), ভাজা জিরে গুঁড়ো (১ চা-চামচ), নুন, চিনি, ছাতু ১ চামচ।
প্রণালী:
প্রথমে একটিপাত্রে ময়দা নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণে নুন, চিনি মিশিয়ে ৩ চামচ সাদা তেল ও জল মিশিয়ে ময়দাটাকে ভালো করে ঠেসেঠেসে মাখতে হবে। মিশ্রণটিকে প্রায় ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। পুরের জন্য কড়াইয়ে ৪ চামচ সাদা তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে বাটা কড়াইশুঁটি তেলে দিন। ভাজা জিরে গুঁড়ো, আদা বাটা, ছাতু,নুন এবং সামান্য চিনি কড়াইয়ে দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। পুর তৈরী হয়ে গেলে কড়াই থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ময়দার মিশ্রণটি থেকে গোলগোল করে লেচি কাটুন। এবার লেচিগুলির মধ্যে কড়াইশুঁটির পুর ভরে সেগুলিকে গোল করে বেলুন। কড়াইয়ে অনেকটা সাদা তেল দিয়ে তা গরম হলে বেলা লুচিগুলিকে তেলের মধ্যে দিয়ে ভাজে তুলে নিন। গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ছোট আলুর দম
উপকরণ –
ছোট আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরে গুড়ো, ধনে গুড়ো, টমেটো পিউরি, দই, লবন, চিনি, আলুর দম মশলা, গরম মশলা, ঘি, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, শুকনো লংকা, হলুদ।
প্রণালী –
তেল গরম করে আলু গুলোকে ভেজে তুলে রাখতে হবে। এরপর তেলে গোটা গরমমশলা, তেজপাতা শুকনো লংকা ফোঁড়ন দিয়ে একে একে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বাটা জিরে গুড়ো, ধনে গুড়ো দিয়ে কষাতে হবে। এরপর তাতে লবন ও হলুদ গুড়ো দিয়ে দিতে হবে, এরপর টমেটো পিউরি ও ফেটানো দই দিয়ে একটু কষিয়ে ভাজা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে। কষানো হলে তাতে জল দিয়ে ফুটাতে হবে। ফুটে গেলে গরম মশলা গুড়ো দিতে হবে। আর নামানোর আগে একটু ঘি ছড়ালেই রেডি ছোট আলুর দম৷