প্রকৃতির মুগ্ধতাকে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে নিতে যারা পারেন, তারা বরাবর বাঁধন ছেড়ে বেরোতে চান। বাধা ধরা জীবনের গন্ডী পেরিয়ে ব্যাগ প্যাক করে প্রকৃতির টানে বেড়িয়ে পরেন যারা তাদেরকে বাঁধা দায়। এই শীত মরশুমে এবারের গন্তব্য হতেই পারে বালি দ্বীপ।
দক্ষিণপূর্বের দ্বীপগুলোর মধ্যে বালি একটি জনপ্রিয় দ্বীপ। ইন্দোনেশিয়া এর জাভা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। “দ্য লাস্ট প্যারাডাইস অন আর্থ” বলে অভিহিত করা হয়। বালির সংস্কৃতি এখানে আসা পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষিত করে। প্রাকৃতিক পরিবেশের মুগ্ধতায় এখানে আগত পর্যটকেরা বারবার বালিতে অবকাশ যাপনের জন্য ফিরে আসেন। বালি দ্বীপের বাসিন্দাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এই দ্বীপের রূপ আরোও বাড়ায়।
বালির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রের নাম উলুয়াতু। এগারো শতকে নির্মিত পুরনো মন্দির রয়েছে এই বুকিট উপদ্বীপে। সমুদ্রের বুকে পাহাড়ের ৭০ মিটার উপর স্থাপিত প্রাচীন এই মন্দিরটির স্থাপত্যশৈলীও বেশ নজরকাড়া। মন্দিরের উপর থেকে এক অপার্থিব সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়াও নির্মল পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উলুয়াতু-তে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিচিত্রানুষ্ঠান পর্যটকদের মোহিত করে। আর বালিতে সার্ফিং করতে চাইলে উলুয়াতু মোক্ষম জায়গা।
বালির সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কিউটা সৈকত। কিউটার সাদা ও সমতল সৈকত সার্ফিং ও ওয়ার্টার স্কিয়িং প্রেমীদের কাছে যেন সোনায় সোহাগা। কিউটা সৈকতের রূপ জানিয়ে দেয় কেন বালির শ্রেষ্ঠত্ব। এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা পর্যটকদের সাথে বেশ আন্তরিক। এছাড়া সৈকতের কাছের মার্কেটে নানা রকম হস্তশিল্প, বর্ণিল পোশাক ইত্যাদি নানান ধরণের জিনিস পাওয়া যায়।
বালির মেনজানগান আইল্যান্ডে স্কুবা করা যায়৷ জীববৈচিত্র্যে এই জায়গা অন্যন্য৷ তাই জলের নীচের জগতের প্রতি যাদের অগাধ কৌতুহল, তারা এখানে এসে স্কুবা করতেও পারেন।
সারা বছরই বালির আবহাওয়া চমৎকার থাকে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস এই দ্বীপটি ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময়। তবে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বালি ভ্রমণ করলে এক অপরূপ বালির সন্ধান পাওয়া যায়।