অবান্তর মন্তব্যে বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞার জুড়ি মেলা ভার। কখনো তিনি বলেন ওষুধ নয়, গো মূত্রেই ক্যানসার সারে, কিছুদিন আগেই তিনি বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে ‘প্রকৃত দেশপ্রেমী’। দিনকয়েক আগে ফের বেলাগাম হয়েছিলেন সাধ্বী। ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীকে ‘জাতির সন্তান’ বলে বসেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের প্রচারে সাধ্বী নাথুরাম গডসেকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলেছিলেন। এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। মোদী বলেছিলেন সাধ্বী ক্ষমা চাইলেও তাঁকে আমি ক্ষমা করতে পারব না। কিন্তু ভোটের লগ্নে মোদীর এই উক্তি যে শুধুই মানুষের মন রাখতে এবং ভোট ব্যাঙ্ক বজায় রাখতে তা স্পষ্ট প্রমাণিত যখন জানা গেল সাধ্বী প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য হয়েছেন।
সাধ্বীর এহেন নিন্দনীয় মন্তব্যের পরে বিজেপির তরফে বলা হয়েছিল, দশ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করা হবে প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে। তার পর কত দশ দিন পেরিয়ে গিয়েছে! আজ কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধীদের গলায় আবার ফিরে এল প্রধানমন্ত্রীর সেই পুরনো কথা। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে ভোট মিটতেই মোদী ক্ষমা করে দিলেন সাধ্বীকে?
চারপাশে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এই নিয়ে। মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কমিটিতে শামিল করা নিয়ে রীতিমত তেড়েফুঁড়ে উঠলেন বিরোধীরা। জঙ্গী হানায় অভিযুক্ত আর গডসের ভক্ত দেশের প্রতিরক্ষা কমিটির সদস্য? যে কমিটির নেতৃত্ব দেন খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ? তাঁকে প্রতিরক্ষা নিয়ে পরামর্শ দেবেন এই সাংসদ?
সরব কংগ্রেসের একাধিক নেতা। কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘‘এ তো সামরিক বাহিনীর অপমান। প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে এখনও আদালতে মামলা চলছে। তাঁকে এই কমিটির সদস্য করার পথে হয়তো সাংবিধানিক দিক থেকে কোনও বাধা নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য আদৌ এটি ভাল লক্ষণ নয়। প্রধানমন্ত্রী কি এখন মন থেকে প্রজ্ঞাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তা হলে?’’ উত্তর জানেন শুধুই মোদী এবং সাধ্বী!