আর কোনও বাধা নেই। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত। চলতি মাসের শেষেই সরকার গড়বেন তাঁরা। বুধবার শিবসেনার তরফে এ কথা জানিয়েছিলেন দলের সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তখনই বোঝা গিয়েছিল, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনে বদ্ধপরিকর শিবসেনা। যেমন কথা তেমনি কাজ। অবশেষে মহাজট কেটে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের ‘মহাজোট’ সরকারের পথে মহারাষ্ট্র। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
উল্লেখ্য, গতকাল রাতেই এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে গিয়ে গভীর রাতে দেখা করেন উদ্ধব ও তাঁর ছেলে আদিত্য ঠাকরে। সেখানে এক জরুরি বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এবং এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকেই রফা সূত্র মেলে বলে জানা গেছে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী পদই নয়, একইসঙ্গে তিনি শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের নেতৃত্বও দিতে পারেন বলেও শিবসেনা সূত্রে খবর। শোনা যাচ্ছে, এই জোটকে ‘মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি’ অর্থাৎ মহারাষ্ট্র বিকাশ আন্দোলন (উন্নয়ন ফ্রন্ট) বলে উল্লেখ করেছেন উদ্ধব।
উল্লেখ্য, ২৮৮ বিধানসভার মহারাষ্ট্রে ১০৫টি আসন পেয়েছে বিজেপি, শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি এনসিপি পেয়েছে ৫৪টি ও কংগ্রেস পেয়েছে ৪৪টি আসন। ফলে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় সে রাজ্যে অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে সেখানে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা রকম জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তবে আদর্শগত ভাবে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে থাকা শিবসেনার সঙ্গে জোট বাঁধার ব্যাপারে কংগ্রেস দ্বিধায় থাকলেও অবশেষে আজ শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এই তিন দলের আসন মিলিয়ে আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৪, যা ম্যাজিক ফিগার ১৪৫ পেরিয়ে গিয়েছে।